চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-শাহারাস্তী নির্বাচনী এলাকার বিএনপির লক্ষাধিক নেতাকর্মীর আস্থাভাজন, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও দানবীর হিসেবে পরিচিত ইঞ্জি. মমিনুল হক আজ এলাকার রাজনীতিতে একটি আলাদা অবস্থান গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষায়, তিনি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা নন—বরং দায়িত্ববান একজন অভিভাবক, যিনি প্রতিনিয়ত দলের কর্মীদের পাশে থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচারী শাসনের কঠিন সময়ে গত ১৭ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ছায়া হয়ে পাশে ছিলেন। কেউ নিপীড়নের শিকার হলে তিনি যেমন আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তেমনি আর্থিক সহায়তা ও মানসিক সাহস যুগিয়েছেন। অনেকের মতে, তিনি এমন এক নেতা যিনি পিতা-মাতার পরই কর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক ও ভাগ্যনির্মাতা হিসেবে বিবেচিত।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম ভুট্টো বলেন, “হাজীগঞ্জের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমাদের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটেছিল ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নেতৃত্বে। রাজপথে সেই বিশাল জনসমাবেশ একটি নজির হয়ে থাকবে। গত ৫ আগস্টে বিএনপির আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে হাজীগঞ্জ-শাহারাস্তীর সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেভাবে তিনি ভূমিকা রেখেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
অন্য দিকে, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, “আমার বিশ্বাস, সারা দেশের মধ্যে যদি ১০ জন আস্থাভাজন জননেতার নাম করা হয়, তাহলে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক অবশ্যই তাঁদের একজন হবেন।”
দলীয় নেতা সাহাবুদ্দিন বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক নেতা-কর্মীদের মধ্যে এমন এক বন্ধনের সৃষ্টি করেছেন, যার ফলে হাজীগঞ্জে এখন আর বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই—কেবল দু-চারজন আওয়ামী দালাল ছাড়া। তিনি আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, একজন প্রকৃত অভিভাবকের মতো গড়ে তুলেছেন।”
নেতাকর্মীরা আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক রাজনীতিতে নতুন এক ধারা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন—রাজনীতি কেবল মঞ্চে বক্তৃতা নয়, বরং মানুষের সঙ্গে বসে তাদের কথা শোনা, সমস্যার সমাধানে পাশে থাকা। এই শিক্ষার মাধ্যমেই তিনি দুই উপজেলায় এমন এক সাংগঠনিক ঐক্য সৃষ্টি করেছেন, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
সবশেষে নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হককে বিজয়ী করতে, যাতে তিনি জনগণের সেবা ও দলের আদর্শ আরও শক্তভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
কাউসার আহমেদ রিপন: 
























