চাঁদপারের হাইমচর উপজেলায় মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীন স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে টয়লেট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় চরম ক্ষব্দ স্থানীয় সেবাগ্রাহীতারা।
জানা গেছে, টয়লেটের রিং নির্মাণে যে নির্দেশনা রয়েছে তা না মেনে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করছে ঠিকাদাররা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২২৯টি করে টয়লেট নির্মাণের বরাদ্দ আসে। প্রতিটি টয়লেটের বরাদ্দ ৩৫ হাজার টাকা। বিগত সরকারের আমলে বরাদ্দ আসা এসব কাজ আওয়ামী লীগের ঠিকাদারা করেন। এবং প্রতিটি কাজে অনিয়ম করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাইমচর উপজেলা ৩নং আলগী দূর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি মাঠে টয়লেট তৈরি সামগ্রী ইট, বালু, সিমেন্ট, টিন, কাঠ ও পিলার রাখা হয়েছে। যা খুবই নিম্নমানের। আর ওই সব নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে স্থানীয় কিছু শ্রমিক টয়লেটের রিং, পিলার ও পানির পাত্র তৈরি করছেন। যা হাত দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলে ভেঙে যাবে এসব সামগ্রী। আবার প্রতিটি রিং ফাটল, তার ওপর সিমেন্টের গোলা দেওয়া হয় যাতে ফাটল দেখা না যায়। তাড়াহুড়ো করে ওই সব সামগ্রী উপকারভোগীদের বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে কয়েকজন শ্রমিকদের কাছে চাইলে তারা বলেন, “যেভাবে কাজ করতে বলা হচ্ছে, সেভাবেই করছি। রিংয়ে ফাটল থাকলে সেগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। বাকিটা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।” ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা কিছুই জানি না।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, তথ্য চাইলেই আমি তথ্য দিতে রাজি নই। কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনাদের তথ্য প্রয়োজন হলে তথ্য আইনে লিখিত ভাবে তথ্য চাইলে আমি তথ্য দিব।
পরবর্তীতে তার অফিসে তথ্য অধিকার আইনের ফরমে লিখিত ভাবে তথ্য চাইলে তিনি আগামী ২৮ নভেম্বর শুক্রবারে তথ্য দিবেন বলে জানান, স্থানীয় সংবাদকর্মী তাকে বন্ধের দিনে তথ্য দিবেন কিভাবে? প্রশ্ন করায় তিনি ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তথ্য দিবেন বলে জানান। তার এই তথ্য লুকিয়ে রাখার পেছনে রয়েছে বড় ধরনের অনিয়ম। যা ধামাচাপা দিতে কতিপয় লোকের মাধ্যমেও সংবাদকর্মীদের দেন টাকার অপার।
এ বিষয়ে কয়েকজন সংবাদ কর্মী পুনরায় তার কাছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আকুতি মিনতি করেন।
Reporter Name 






















