ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৩ Time View

হাজীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন। হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামানের শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারের উপস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সম্প্রতি শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিষেদাগার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। এতে তিনি বিব্রতবোধ করছেন। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল ম্যাসেজ ও তথ্য ছড়াচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন বলেন, ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজার সিএস- ৫২, এসএ- ১১২, বিএস- ৩৩৯ ও খারিজ খতিয়ান নং- ৩১৬০ মূলে ৮৪০ দাগে একেএম আমিনুল মান্নান, একেএম জিয়াউল মান্নান, মাহমুদা ইয়াসমীন, মাসুদা ইয়াসমীন, নওজিয়া ইয়াসমীন ও ফারজানা ইয়াসমীন মান্নানের কাছ থেকে আমি ১৮ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছি।

এছাড়াও আরো ৩ শতাংশ ৮১ পয়েন্ট’ মোট ২১ শতাংশ ৮১ পয়েন্ট ভূমির ক্রয়সূত্রে মালিক। যার মধ্যে ১৬ শতাংশ ৯২ পয়েন্ট ভূমি বিক্রি করেছি এবং বর্তমানে ৪ শতাংশ ৮৯ পয়েন্ট মালিকানাধীন রয়েছে। সম্প্রতি নূর আলম নামের এক ব্যক্তির ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন আমাকে মামলা করার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন এবং আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে। যার ফলে তারা আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ও অনলাইনে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমি যে দাগে ১৮ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছি। ওই দাগে ডিক্লারেশন দলিল করা হয়েছে। যার দাতা শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন’সহ আরো অনেকে রয়েছেন। আবার তারাই আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির হোল্ডিং করে দিয়েছেন। অথচ তারাই এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।

বিল্লাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আমি ও নূর আলমসহ একাধিক বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার বাদী হলেন, আব্দুল হামিদ। তিনি আমার কাছে এসেছেন এবং তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, নিজেই জানেন না তিনি ওই মামলার বাদী। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবেলা করবো।

কাউকে বিব্রত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মিথ্যাচার করে কারো সম্মানহানী করা ঠিক নয়। দেশে আইন-আদালত রয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমি স্পষ্ট করে বলছি যে, ওই দাগে তাদের স্বত্ত্ব ও স্বার্থ, মালিকানা নেই। যা ডিক্লারেশন দলিলের মাধ্যমে তারাই প্রমাণ করে দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাই, তাদেরকে মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

হাজীগঞ্জে দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ১১:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

হাজীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন। হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামানের শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারের উপস্থাপনায় বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সম্প্রতি শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিষেদাগার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। এতে তিনি বিব্রতবোধ করছেন। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল ম্যাসেজ ও তথ্য ছড়াচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন বলেন, ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজার সিএস- ৫২, এসএ- ১১২, বিএস- ৩৩৯ ও খারিজ খতিয়ান নং- ৩১৬০ মূলে ৮৪০ দাগে একেএম আমিনুল মান্নান, একেএম জিয়াউল মান্নান, মাহমুদা ইয়াসমীন, মাসুদা ইয়াসমীন, নওজিয়া ইয়াসমীন ও ফারজানা ইয়াসমীন মান্নানের কাছ থেকে আমি ১৮ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছি।

এছাড়াও আরো ৩ শতাংশ ৮১ পয়েন্ট’ মোট ২১ শতাংশ ৮১ পয়েন্ট ভূমির ক্রয়সূত্রে মালিক। যার মধ্যে ১৬ শতাংশ ৯২ পয়েন্ট ভূমি বিক্রি করেছি এবং বর্তমানে ৪ শতাংশ ৮৯ পয়েন্ট মালিকানাধীন রয়েছে। সম্প্রতি নূর আলম নামের এক ব্যক্তির ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন আমাকে মামলা করার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছেন এবং আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে। যার ফলে তারা আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ও অনলাইনে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমি যে দাগে ১৮ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেছি। ওই দাগে ডিক্লারেশন দলিল করা হয়েছে। যার দাতা শাহাজাহান সাজু, তার মোহাম্মদ, আজাদ ও মামুন’সহ আরো অনেকে রয়েছেন। আবার তারাই আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির হোল্ডিং করে দিয়েছেন। অথচ তারাই এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।

বিল্লাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আমি ও নূর আলমসহ একাধিক বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার বাদী হলেন, আব্দুল হামিদ। তিনি আমার কাছে এসেছেন এবং তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, নিজেই জানেন না তিনি ওই মামলার বাদী। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবেলা করবো।

কাউকে বিব্রত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মিথ্যাচার করে কারো সম্মানহানী করা ঠিক নয়। দেশে আইন-আদালত রয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমি স্পষ্ট করে বলছি যে, ওই দাগে তাদের স্বত্ত্ব ও স্বার্থ, মালিকানা নেই। যা ডিক্লারেশন দলিলের মাধ্যমে তারাই প্রমাণ করে দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাই, তাদেরকে মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।