• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

হাজীগঞ্জে বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের সন্না গ্রামের লোকজন একটি বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গত একমাস যাবৎ গ্রামবাসী বানরের যন্ত্রণার শিকার হলেও এর কোন সমাধান হচ্ছে না। তবে মানুষকে যন্ত্রণা দিলেও এখন পর্যন্ত বানরটি কাউকে আঘাত করেছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, মধ্য বয়স্ক বানরটি কোথা থেকে এ গ্রামে এসেছে তা কারো জানা নেই। রাত-দিন প্রতিনিয়ত মানুষের বাড়ি-ঘরে বিচরণ করে থাকে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি, এক গাছ থেকে অন্য গাছ, সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করেই চলছে বানরটি। গাছের ফল আধা-পাকা হলেই সে আপন মনে খেয়ে নেয়।

এছাড়া শিশুদের দেখলেই বানরটি ছুটে আসে। এতে শিশুরা সবসময় ভয়ে অতিষ্ট থাকে। টিনের চালে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে। তার ভয়ে রাত-বিরাতে অনেক মানুষ ঘর থেকেও বের হতে ভয় পাচ্ছে। দিনের বেলায় খাবার জাতীয় কোন কিছু রোদে দেওয়া যাচ্ছেনা। সবসময় পাহারায় থাকতে হয়।

হঠাৎ করে এসে ছোঁ মেরে খাবার নিয়ে যায় বানরটি। দিনে দিনে তার উৎপাত বেড়েই চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী। আবার বানরটিকে নিয়ে দুষ্টু কিশোর-যুবকেরা খেলায় মেতে উঠে। তাকে দেখলেই অনেকে খাবার দেয়, তখন সে দৌঁড়ে এসে খাবার নিয়ে গাছে উঠে যায়।

গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মোল্লা লিটন জানান, বানরটির কারণে বাড়িতে গাছের কোন ফল খেতে পারিনা। ফল পাকার আগেই সে খেয়ে নেয়। সারাদিন এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি, এক গাছ থেকে আরেক গাছে ছুটে বেড়ায়। অর্থ্যাৎ সে বিরামহীন রাজত্ব করেই যাচ্ছে।

একই গ্রামের বাসিন্ধা সমীর বর্ধন জানান, রাতে বিকট শব্দ করে ঘরের চালে হাঁটাহাঁটি করে। এতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আবার অনেক সময় ভয়ে রাতে-বিরাতে ঘর থেকে বের হতে পারিনা।

এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, বানরটি স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ধরে দিলে আমরা কুমিল্লার লালমাই বন বিভাগের উদ্যানে ছেড়ে দিতে পারি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বানরটি ধরতে হলে ঢাকা থেকে লোক আনতে হবে। যা কিছুটা ব্যয়বহুল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০