ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • ৬৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেছেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে ৩শ ফুট দৈর্ঘ্যরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই নৌপথের যাত্রা অনেক নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। নিরাপদ ও বিলাস বহুল নৌযান থাকার কারণে এই অঞ্চলের যাত্রীরাও এই রুটে বেশী আসছে।

শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডে অস্থায়ী বিকল্প লঞ্চঘাট ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক নৌ বন্দর ভবণ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে এখন সদরঘাটের পরে যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। দীর্ঘদিন যাবত এ বন্দরের কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার এ বন্দরকে উন্নয়ন করতে যথেষ্ট উৎসাহী। চাঁদপুরবাসীর দিকে তাকিয়েই এ সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে একটি আধুনিক নৌ বন্দর নির্মান করবে। আশাকরি অতি শিগগিরই আমরা নৌ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।

পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, বিআইডাব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর সিপিএস আব্দুল্লাহিল বাকী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ বিআইডাব্লিউটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশ্বব্যাংক চাঁদপুর নৌ বন্দর নির্মাণের জন্য প্রায় একশ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। দরপত্র আহ্বানের পর আগামী জুন মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এই জন্য ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের আরো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ শুরু করে আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

এর আগে বিআইডাব্লিউটি চেয়ারম্যান চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের শরীয়তপুর অংশের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশের হরিণা ঘাট এবং হাইমচরের নায়ারহাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

সুবিদপুর দরবার শরীফে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’

Update Time : ০৭:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেছেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে ৩শ ফুট দৈর্ঘ্যরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই নৌপথের যাত্রা অনেক নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। নিরাপদ ও বিলাস বহুল নৌযান থাকার কারণে এই অঞ্চলের যাত্রীরাও এই রুটে বেশী আসছে।

শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডে অস্থায়ী বিকল্প লঞ্চঘাট ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক নৌ বন্দর ভবণ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে এখন সদরঘাটের পরে যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। দীর্ঘদিন যাবত এ বন্দরের কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার এ বন্দরকে উন্নয়ন করতে যথেষ্ট উৎসাহী। চাঁদপুরবাসীর দিকে তাকিয়েই এ সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে একটি আধুনিক নৌ বন্দর নির্মান করবে। আশাকরি অতি শিগগিরই আমরা নৌ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।

পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, বিআইডাব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর সিপিএস আব্দুল্লাহিল বাকী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ বিআইডাব্লিউটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশ্বব্যাংক চাঁদপুর নৌ বন্দর নির্মাণের জন্য প্রায় একশ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। দরপত্র আহ্বানের পর আগামী জুন মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এই জন্য ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের আরো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ শুরু করে আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

এর আগে বিআইডাব্লিউটি চেয়ারম্যান চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের শরীয়তপুর অংশের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশের হরিণা ঘাট এবং হাইমচরের নায়ারহাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন।