ঢাকা 12:24 am, Sunday, 14 September 2025

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদারের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা

বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ও চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা লিয়াকত আলী মজুমদারের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা রেল স্টেশন সংলগ্ন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অত্র কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম (পূর্ব) মো. তানভিরুল ইসলাম।

তিনি বক্তব্যে বলেন, লিয়াকত আলী মজুমদার নিজে রেলওয়ের এই অঞ্চলের জন্য ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর হাত ধরে এই অঞ্চলের লোকজন কাজ শিখেছেন। রেলওয়ের কাজকে তিনি নিজের মত করে নিয়েছেন। আমরা সব সময় সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। রেলওয়েকে আপন করে নেয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। সর্বশেষ তিনি সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে গেলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি লিয়াকত আলী মজুমদার একজন সফল ব্যাক্তি। তিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে এই সফলতা অর্জন করেছেন। যারা এই অঞ্চলে তার সাথে কাজ করেছেন, তারা ভাগ্যবান। কারণ এমন একজন ব্যাক্তির সাথে থেকে কাজ শেখার সুযোগ হয়েছে।

তানভিরুল ইসলাম বলেন, লিয়াকত আলী মজুমদারের সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছে তিনি সব সময় কাজকে প্রজেটিভলী দেখেন। এছাড়াও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এর যত এসএসএই রয়েছেন তাদের মধ্যে যদি তুলনা করা হয় তাহলে তিনি ওপরে থাকবেন। শুধু তাই নয়, উনাকে যখনই কোন কাজের তথ্য দেয়ার জন্য বলেছি, উনি ওই বিষয়টি তিনদিন সময় নিয়ে দুই দিনের মধ্যে পাঠিয়েছেন। এভাবেই তিনি কাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কুমিল্লা মো. আকরাম আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) চট্টগ্রাম আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা একাডেমিকভাবে যে পড়াশুনা করেছি তাতে বাস্তবাতা ছিলো না। কিন্তু আমি কর্মজীবনে প্রবেশের পর প্রথমে যখন বাস্তবে কাজ দেখার জন্য এসেছি তখন আমাকে বাস্তবকাজগুলো খুবই চমৎকারভাবে জানা ও বুঝার জন্য লিয়াকত আলী মজুমদারের সহযোগিতা পেয়েছি।

আরো বক্তব্য দেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম ও লাকসাম এর টিআই মহিউদ্দিন মুকুল, বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লোয়ীজ লীগ কার্যকরি সভাপতি মো. সেলিম পাটোয়ারী।

রেলওয়ে লাকসামের নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জরুল ইসলাম ও ট্রাফিক পরিদর্শক গোলাম সরোয়ার।

লিয়াকত আলী মজুমদারের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন কুমিল্লার হেড মেইট মো. মিজানুর রহমান ও ওয়েম্যানদের পক্ষে মো. রাশেদুল হক ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিদায়ী অতিথি সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদারকে সম্মাননা স্মারক তুলেদেন প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম (পূর্ব) মো. তানভিরুল ইসলাম।

.এছাড়াও অন্যান্য তিথিদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সবশেষে বিদীয় অতিথিকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপহার প্রদান করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদারের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদারের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা

Update Time : 12:21:37 am, Sunday, 14 September 2025
বাংলাদেশ রেলওয়ের কুমিল্লা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ও চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা লিয়াকত আলী মজুমদারের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা রেল স্টেশন সংলগ্ন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অত্র কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম (পূর্ব) মো. তানভিরুল ইসলাম।

তিনি বক্তব্যে বলেন, লিয়াকত আলী মজুমদার নিজে রেলওয়ের এই অঞ্চলের জন্য ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর হাত ধরে এই অঞ্চলের লোকজন কাজ শিখেছেন। রেলওয়ের কাজকে তিনি নিজের মত করে নিয়েছেন। আমরা সব সময় সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। রেলওয়েকে আপন করে নেয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। সর্বশেষ তিনি সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে গেলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি লিয়াকত আলী মজুমদার একজন সফল ব্যাক্তি। তিনি তার কর্মদক্ষতা দিয়ে এই সফলতা অর্জন করেছেন। যারা এই অঞ্চলে তার সাথে কাজ করেছেন, তারা ভাগ্যবান। কারণ এমন একজন ব্যাক্তির সাথে থেকে কাজ শেখার সুযোগ হয়েছে।

তানভিরুল ইসলাম বলেন, লিয়াকত আলী মজুমদারের সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছে তিনি সব সময় কাজকে প্রজেটিভলী দেখেন। এছাড়াও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এর যত এসএসএই রয়েছেন তাদের মধ্যে যদি তুলনা করা হয় তাহলে তিনি ওপরে থাকবেন। শুধু তাই নয়, উনাকে যখনই কোন কাজের তথ্য দেয়ার জন্য বলেছি, উনি ওই বিষয়টি তিনদিন সময় নিয়ে দুই দিনের মধ্যে পাঠিয়েছেন। এভাবেই তিনি কাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কুমিল্লা মো. আকরাম আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) চট্টগ্রাম আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা একাডেমিকভাবে যে পড়াশুনা করেছি তাতে বাস্তবাতা ছিলো না। কিন্তু আমি কর্মজীবনে প্রবেশের পর প্রথমে যখন বাস্তবে কাজ দেখার জন্য এসেছি তখন আমাকে বাস্তবকাজগুলো খুবই চমৎকারভাবে জানা ও বুঝার জন্য লিয়াকত আলী মজুমদারের সহযোগিতা পেয়েছি।

আরো বক্তব্য দেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম ও লাকসাম এর টিআই মহিউদ্দিন মুকুল, বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লোয়ীজ লীগ কার্যকরি সভাপতি মো. সেলিম পাটোয়ারী।

রেলওয়ে লাকসামের নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জরুল ইসলাম ও ট্রাফিক পরিদর্শক গোলাম সরোয়ার।

লিয়াকত আলী মজুমদারের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন কুমিল্লার হেড মেইট মো. মিজানুর রহমান ও ওয়েম্যানদের পক্ষে মো. রাশেদুল হক ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিদায়ী অতিথি সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদারকে সম্মাননা স্মারক তুলেদেন প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম (পূর্ব) মো. তানভিরুল ইসলাম।

.এছাড়াও অন্যান্য তিথিদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সবশেষে বিদীয় অতিথিকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপহার প্রদান করেন।