গত ১৯/০৯/২০২৫ইং তারিখ দুপুরে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন দেবপুর সাকিনস্থ সাকুরা স্টীল মিলে এক যুবককে আটকে রেখে বিদেশী ০২ টি কুকুর দিয়ে কামড়িয়ে পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করে। ঐ যুবকের নাম জয় চন্দ্র সরকার (৩০), তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা থানার শীতলপুর গ্রামের শ্রী বিষ্ণুর চন্দ্র সরকারের ছেলে এবং বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সাহেববাজার এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে থেকে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আলোচিত এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৯/০৯/২০২৫ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন দেবপুর এলাকা হতে উক্ত পৈশাচিক নির্যাতনের সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ শান্ত ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ জুলহাস, মাতা-শিরিনা বেগম, সাং-আরিয়াল, পোঃ আরিয়াল, থানা-টঙ্গীবাড়ী, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২। মোঃ আল আমিন প্রঃ লিপু (৩৬), পিতা-মৃত সিরাজ উদ্দিন শেখ, মাতা-মৃত হাজিরা বেগম, সাং-মুরমা, পোঃ মীর কাদিম, থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৩। মোঃ সজিব হাওলাদার (২৬), পিতা-মোঃ ফারুক হাওলাদার, মাতা-মায়া বেগম, সাং-মালিকান্দা, পোঃ ডাবেরকুল, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল, সকলের বর্তমান সাং-কাটাজাঙ্গাল (সাকুরা স্টীল মিলের পাহারাদার), থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১২/০৯/২০২৫ইং তারিখ বুড়িচং থানাধীন দেবপুর সাকিনস্থ সাকুরা স্টীল মিলে থাকা তামার তার চুরির ঘটনা ঘটে। উক্ত চুরির ঘটনার পর থেকেই চোরকে ধরার জন্য সাকুরা স্টীল মিলের পাহারাদাররা ওৎ পেতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯/০৯/২০২৫ইং তারিখ দুপুর ১২৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম জয় চন্দ্র সরকার (৩০) উক্ত স্টীল মিলে প্রবেশ করে। তখন ধৃত আসামীরা ভিকটিমকে চোর সন্দেহে ধাওয়া করে। ধাওয়া করার একপর্যায়ে মিলের বাইরের রাস্তা থেকে ভিকটিমকে ধরে মিলের ভিতরে নিয়ে আসে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আসামীরা পৈশাচিকভাবে বিদেশী ০২ টি কুকুর লেলিয়ে কামড়িয়ে ভিকটিমকে নির্যাতন করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।