চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণি সংকট দূরীকরণে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থ বছরে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ভবনটির নিচতলার সিঁড়ির পূর্ব পাশের একটি কক্ষ এবং তৃতীয় তলার পুরো ভবন নিজেদের দখলে নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখায় প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় পুরো ভবনের বিশাল আকৃতির ৩টি কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব রক্ষক রিতা আক্তার ও নৈশ্য প্রহরী সাদ্দাম হোসেন বসবাস করে আসছেন। যদিও শ্রেণি সংকট দূরীকরণে এবং বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র ব্যতীত ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ, হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী এবং বিদ্যালয়ের ধর্মী শিক্ষক ও ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মিয়াজীর ভাগনী হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে ভবনের তৃতীয় তলায় বসবাস করে আসছেন রিতা আক্তার।
এ হিসাব রক্ষক রিতা আক্তারের প্রভাব আর অশোভনীয় আচরণের কারণে অসহায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি জেনে তেড়ে আসেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে উচ্চস্বরে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন রিক্তা আক্তার।
আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকাকালিন সময়ে দলীয়করণের মাধ্যমে রিতা আক্তার নিয়োগ পাওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে নৈশ্য প্রহরী সাদ্দাম হোসেন বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তার দায়িত্ব পালন না করে দোকানদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিদ্যালয়ের পাশেই তার একটি কনফেকশনারী দোকান রয়েছে। এ সাদ্দামও পরিবার নিয়ে থাকেন বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ভবনে।
তবে রিক্তা আক্তার রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে ভবনে বসবাস করে আসছেন বলে দাবী করছেন।
প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন বলেন, পূর্বের কমিটি রেজ্যুলেশন করে তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র ভবনে বসবাস করার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এবিষয়টির জন্য প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাব দেওয়ার কথা বলেছি। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।