ষাটোর্ধ বিল্লালের একের পর এক অপকর্মে
নিরাপত্তাহীনতায় মৈশাইদ গ্রামের কন্যা শিশু থেকে কিশোরীরা। মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে, বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটাহাঁটি, নিজ বসত ঘরে থেকেও লুচুপনা বিল্লালের কাছে থেকে রেহাই যায়নি শিশু এবং কিশোরীরা? বৃদ্ধ বিল্লাল শিশু ও কিশোরীদের একা পেলে আপত্তিকর কাজ করতে ব্যস্ত হন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এলাকায় স্থানীয় ভাবে শালিসি বৈঠকে তিনি সমাধান করেন। বৈঠকগুলোতে তাকে গুনতে হয়েছে অর্থ জরিমানা। এতে শিশু বা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনী পদক্ষেপ না নেওয়া পার পেয়ে যান শিশু ও কিশোরী লোভী বিল্লাল।
এমন ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামে শিশু কন্যাদের বসবাস অনিরাপদ হয়ে উঠছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে মৈশাইদ গ্রামের প্রবাসীর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে উত্যাক্ত করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে বিল্লাল। ওই ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী রাত ৯টায় জানালা জোরে আঘাত করার শব্দ শুনতে পায়। জানালা খুললে বিল্লাল শিশুকে দেখে নানান অঙ্গভঙ্গি করে। শিশুটি ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে বিল্লালকে আটক করে। বিচারের আশ্বাসে বৃদ্ধ বিল্লালের পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই শিশুটি স্থানীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া লেখা করে। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে কয়েক মাস ধরে পথ গতিরোধ করার চেষ্টা করে এবং পিছু নেয়। নিজের অপকর্ম ঢাকতে স্থানীয় একটি চক্রের সহায়তায় ঘটনার পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানায় একাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করে।
বিল্লাল হোসেন মৈশাইদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত লুৎফে আলীর ছেলে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে সে অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করে অপকর্মে চেষ্টা করে।
গত ২ মাস পূর্বে বিল্লাল হোসেন মৈশাইদ হাজী বাড়ির বাসিন্দা এক সিএনজি চালকের ৬ বছর বয়সী মেয়েকে একা পেয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই সময় তাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। সেখানেও মারধর করার পর একটি চক্রকে অর্থের বিনিময়ে রেহাই দেয়।
এ দুটি ঘটনার কয়েক মাস আগেও ৩য় শ্রেনিতে পড়ুয়া এক শিশুর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠে এ লম্পট বিল্লালের বিরুদ্ধে।
এর আগেও এক গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শ্রীপুর গ্রামে গোপন বিচারে রেহায় পেয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে বৃদ্ধ বিল্লাল হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার ঘরে থাকা পুত্রবধু।
বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে রেহায় পেয়ে যায়।
লম্পট বিল্লাল একের পর এক শিশু কন্যাদের সাথে এমন অপকর্ম করে ঘুরে বেড়ালেও তার পক্ষে সাফাই গাইছে।
উল্টো ভিকটিম পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
গত বুধবার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করার ঘটনায় মৈশাইদ গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও আইনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বিচারের আশ্বাসে ছেড়ে দেওয়া হয় বিল্লালকে।
ইউপি সদস্য কামাল সর্দার শুক্রবার বিচার করার কথা জানান।
বিল্লাল এর বাড়িয়ে
নিজেকে রক্ষা করতে বিল্লাল উল্টো হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে হয়রানি করে আসছে।
ইউপি সদস্য কামাল সর্দার বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে, পারিবারিক ভাবে বসে সমাধান করার চেষ্টা করবো।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।