ঢাকা 7:02 pm, Friday, 1 August 2025

হাজীগঞ্জের পাঁচৈ বসতঘর ভাংচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ!

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:35:02 pm, Saturday, 11 March 2023
  • 13 Time View
অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ চৌধুরী বাড়িতে বসতঘর ভাংচুর করে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন, হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী (৫৭)। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেকান্দর চৌধুরীর ছেলে।
একই বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. নুরুজ্জামানকে একমাত্র বিবাদী করে তিনি এমন অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে ধারালো কুড়াল দিয়ে প্রতিবেশী মো. নুরুজ্জামান তার বসতঘর ও ঘরে থাকা শো-কেইচ, ফ্রিজ, আসববাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে এবং শো-কেইচে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত বাড়িতে এসে তিনি জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দিকে ঘটনার সময় ওই বাড়ির মো. মিজানুর রহমান বিবাদী মো. নুরুজ্জামানকে ডাক দিলে তিনি তাকে হুমকি-ধমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ দিকে ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় আমি তাঁর ঘর ভেঙ্গেছি। এ সময় তিনি টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং প্রশ্ন রেখে বলেন, খালি ঘরে কি, কেউ এতো টাকা ও স্বর্ণ রাখে ? তিনি (হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী) আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আবারো আমাকে অপবাদ দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে আমি চৌধুরী বাড়িতে গিয়েছি এবং ওই সময়ে পুলিশ উপস্থিত ছিল। তখন শাহাদাৎ চৌধুরীর ঘর ভাংচুরের বিষয়টি স্বাক্ষীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে নুরুজ্জামান টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছে কিনা, তা আমি জানিনা এবং কেউ দেখেছে কিনা, তাও বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎখনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জের টোরাগড়ে নদী ভাঙন: ভিটামাটি হারানোর শঙ্কায় শতাধিক পরিবার

হাজীগঞ্জের পাঁচৈ বসতঘর ভাংচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ!

Update Time : 06:35:02 pm, Saturday, 11 March 2023
অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ চৌধুরী বাড়িতে বসতঘর ভাংচুর করে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন, হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী (৫৭)। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেকান্দর চৌধুরীর ছেলে।
একই বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. নুরুজ্জামানকে একমাত্র বিবাদী করে তিনি এমন অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে ধারালো কুড়াল দিয়ে প্রতিবেশী মো. নুরুজ্জামান তার বসতঘর ও ঘরে থাকা শো-কেইচ, ফ্রিজ, আসববাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে এবং শো-কেইচে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত বাড়িতে এসে তিনি জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দিকে ঘটনার সময় ওই বাড়ির মো. মিজানুর রহমান বিবাদী মো. নুরুজ্জামানকে ডাক দিলে তিনি তাকে হুমকি-ধমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ দিকে ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় আমি তাঁর ঘর ভেঙ্গেছি। এ সময় তিনি টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং প্রশ্ন রেখে বলেন, খালি ঘরে কি, কেউ এতো টাকা ও স্বর্ণ রাখে ? তিনি (হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী) আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আবারো আমাকে অপবাদ দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে আমি চৌধুরী বাড়িতে গিয়েছি এবং ওই সময়ে পুলিশ উপস্থিত ছিল। তখন শাহাদাৎ চৌধুরীর ঘর ভাংচুরের বিষয়টি স্বাক্ষীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে নুরুজ্জামান টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছে কিনা, তা আমি জানিনা এবং কেউ দেখেছে কিনা, তাও বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎখনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।