বিশেষ প্রতিনিধি ॥ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আমি প্রথমেই গভীর সমেবদনা জানাই বঙ্গবাজারে যারা ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক ছিলেন। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তারা যে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই ধার-কর্য করে মাল তুলেছিলেন। এটি একটি বিপর্যয় তাদের জন্য। আমি আশা করি আমরা এবার যখন ঈদ করব, সে ঈদে আমরা যে যা খরচ করব, আমরা যদি আমাদের সামর্থ অনুযায়ী একটুখানি আমাদের ভাইদের পাশে দাঁড়াতে পারি এবং উদ্যোগ নেই, তাহলে আমি মনে করি সেটা খুব ভাল হবে। আশা করি আমরা সবাই সেটা করব।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবসমূহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অগ্নিকান্ডের পিছনে কি কারণ থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে ভয়াবহ একটি অগ্নিকান্ড হয়েছে এটির যথাযথ একটি তদন্ত কমিটি হবে। এটি একটি দুর্ঘটনা নাকি এর পিছণে অন্য কোন কারণ আছে। তবে কেউ কেউ যে সরকারকে দোষারপ করছে, তারাত সবসময়ই করে আসছে। এইরকম একটি অগ্নিকান্ড হলে ক্ষতি কার? কারণ এই ধরণের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডকে সামাল দেয়া, তারপর এসব মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। পুরো দায়-দায়িত্ব কিন্তু সরকারকেই নিতে হবে। কাজেই সরকারের তরফ থেকে এমন কিছু হওয়া, যারা চিন্তা করেন তারা কি ধরণের বিকৃত মানসিকার মানুষ আমি বুঝি না।
দীপু মনি বলেন, আপনারা দেখবেন আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিহাস। এই যারা স্বল্প আয়ের মানুষ এবং যারা ছোট ব্যবসা করেন তাদের পাশে কোন সরকার দাঁড়িয়েছে। এই দেশের ঋণ খেলাপির জন্ম দিয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপি। এই দেশে যত হাওয়া ও খোয়া ভবন বানিয়েছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ কি করেছে গৃহহীন মানুষদেরকে ঘর করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ আগুন দেয় না, আওয়ামী লীগ আগুন নিবিয়ে মানুষকে সুস্থ্যতায় ফিরিয়ে আনে।
মন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসী কারা। আগুন সন্ত্রাসী হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। কাজেই এই আগুনের পিছনে যদি কোন মানুষের হাতকে খুঁজতে যায়, তাহলে সবার আগে যাওয়া উচিৎ যারা অগ্নি সন্ত্রাসী। যারা অগ্নি সন্ত্রাসীকে ঠেকিয়ে দেশের মানুষের জানমাল রক্ষা করে, সে আওয়ামী লীগের দিকে কখনো অঙ্গুলি নির্দেশ করা যেতে পারে না।
বিশ^বিদ্যালয়ের একক ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী বছর থেকে একক সমন্বিত একটি পরীক্ষা নেয়া। যেগুলো বিশে^র বহু উন্নত দেশে হয়। যেটি হয়ত বছরে একাধিকবার হবে। যেখানে সকল ধারার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করতে পারবে। এতে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভূক্তি হবে। এটির জন্য একটি জাতীয়ভাবে র্যাংকিং তালিকা তৈরী হবে। সে তালিকা অনুযায়ী তাদের ভর্তির ব্যবস্থা হবে। ইতোমধ্যে আমাদের মেডিকেল কলেজে একই পদ্ধতিতে হয়ে আসছে। এটি একেবারে কোন নতুন পদ্ধতি তা নয়। সেখানে যেমন সকল প্রাইভেট ও সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো আসে। এখানে সকল বিশ^বিদ্যালয়গুলো আসবে। তাই এটার কি পদ্ধতি হবে, কি নাম হবে এবং সব খুটি নাটি বিষয় ঠিক করবার জন্য বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন খুব সহসাই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেবে। তারা সব নির্ধারণ করে আলাপ আলোচনা, দেশের বাহিরে কিভাবে হয়, সেগুলো সব দেখে নির্ধারণ করে দিবেন এবং তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র অ্যাড. হেলাল হোসাইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।