বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে ‘তাক্বওয়া অর্জনে রমজানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৩টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনা রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. লিয়াকত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. হাবিবুর রহমনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-বাইতুল মাল সস্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস সংগঠক বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সহ- সভাপতি মাওলানা আব্দুল বাকি, মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, মাওলানা ইদ্রিস, মাওলানা আবুল বাসার, সদর উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ, শাহরাস্তি উপজেলার সদস্য মাওলানা সাজ্জাদ হোসাইন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদিন, চাঁদপুর বেগম মসজিদের খতিব মুফতি মাহাবুবুর রহমান।
বক্তারা বলেন, ইসলামে তাকওয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান কোনো কাজ নেই। দ্বীনের প্রাণশক্তিই হলো এ তাকওয়া।তাকওয়া মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মাহে রমজান ও তাকওয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেননা, রমজান মাসে প্রত্যেক রোজাদার ব্যক্তিকে অবশ্যই তাকওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে হয়।
বক্তারা বলেন, তাক্বওয়া অর্জনে রমজানের কোন বিকল্প নাই। আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও পাপাচার বর্জন করে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশানুযায়ী মানবজীবন পরিচালনা করার নামই তাকওয়া। এককথায় যাবতীয় অসৎ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে পরিশুদ্ধ জীবন পরিচালনার নামই তাকওয়া।
বক্তরা আরো বলেন, দেশে আলেম ওলামাদের কণ্ঠরোধ করার গভীর চক্রান্ত চলছে। ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার আলেমদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। সরকার মাওলানা মামুনুল হকের মত আলেমকে বিনা করণে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী রেখেছে। তাঁকে কলঙ্কিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন। বক্তারা রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হকসহ আটককৃত সকল উলামায়ে কেরামকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।
ইফতার মাহফিলে চাঁদপুরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব, বিভিন্ন ইসলামী রাজনীতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলালা এবং সকল উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।