অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জরিত গোজামিলের চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবদল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ চাঁদপুর জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্তের দাবী’ জানিয়েছে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়কবৃন্দ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সভায় যৌথ বিবৃতিতে এ দাবী জানান।
তারা হলেন, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. জিয়াউর রহমান টিটু, মো. জুলহাস আহমেদ জুয়েল, মো. হাসান আল রিয়াদ ও মো. মহসিন খাঁন। উল্লেখ্য, তারা অনেকেই জেলা যুবদলের বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রতিবাদ সভা ও লিখিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা উল্লেখ করেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবদলের অন্তর্গত ১৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বর্তমান দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান নজু এবং স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক মান্নান খান কাজল আর্থিক লেনদেন, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য সংগঠকদের ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী যুবদলকে দিনে দিনে দুর্বল সংগঠনে পরিণত করছেন। তাদের আর্থিক লেনদেন, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিবরণ ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা কিংবা সমন্বয়ে ছাড়াই ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন কমিটির গঠন করা হয়েছে। তাই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করার স্বার্থে অবিলম্বে বর্তমান সদর উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন কমিটি করা একান্ত প্রয়োজন।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, চাঁদপুর জেলা যুবদলের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। ইতিমধ্যে এই কমিটির অনেকে বিএনপিতে স্থান করে নিয়েছে। কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন, কেউ কেউ আবার বিদেশে অবস্থান করছেন। তাছাড়া কমিটিতে দ্বিধা বিভক্তি এখন প্রকাশ্য এবং দৃশ্যমান। বর্তমান জেলা কমিটিকে সামনে রেখে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন অসম্ভব বলেই আমরা মনে করি।
তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙে দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম উপযোগী জেলা যুবদলের কমিটি করার একান্ত আবশ্যক।
নেতৃবৃন্দের আরো বলেন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ সাবেক সভাপতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দু’একদিন ছাড়া দলীয় কোন কর্মকাণ্ডে আসেননি। সাবেক সভাপতি মৃত্যুর পর সভাপতি পদ পাওয়া লোভেই তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে সরব হন। দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যুবদলের তৃণমূল পর্যায়ে অনেক নেতাকর্মী জেল-জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হলেও বর্তমান এ সভাপতি একদিনের জন্যে জেলে যাননি। কিংবা তার বিরুদ্ধে কোন মামলাও নেই। ফেসবুকে আন্দোলন করা এমন নেতাদের বাদ দিয়ে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন করার দাবি জানান তারা।