শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরী করছি, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরী করেছি, লাকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, আমরা অবকাঠামগত উন্নয়ন করছি এবং সবচাইতে জরুরি যেটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সেটি আমরা ব্যাপকভাবে করছি।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগদিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাজেট বরাদ্দ প্রতিবছরই বাড়ছে, এ বছরও গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। একই সাথে আমাদের জিডিপির আকার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে হয়তো শিক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা কমেছে। আমি বার বার বলছি, আমাদের যে মেগা প্রজেক্টগুলো চলছে, এগুলো শেষ হয়েগেলে আমি আশা করি শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট।

তিনি বলেন, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের যে বরাদ্দ, সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আরো যেটি দরকার সেটি হচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় এবারও থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি বিশ^াস করি বিশ^বিদ্যালয়গুলো গত বছরে এবং বিগত দিনে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এ বছর তারা বরাদ্দ কাজে লাগবে বলে আমরা আশা করছি এবং আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বল পেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করি সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে সেটির যেন দাম না বাড়ানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, ফরিদা ইলিয়াছসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগনের নেতারা।