ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৫৬ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধান দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং হুঁশিয়ার করে বলেন, সশস্ত্র সংগঠনগুলো যদি বোকার মতো এভাবে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে।

জান্তাপ্রধান বলেন, ‘সুতরাং আমাদের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। ওই সব সশস্ত্র সংগঠনকে তাদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।’

মিয়ানমারে এক ডজনের বেশি সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর অনেকে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।

গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে যৌথভাবে হামলা শুরু করে। ওই প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতিসংঘের মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর শিশুসহ ২৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানায়, দেশজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জান্তার সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার উৎখাত হওয়ার পর ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) গঠিত হয়। তারা মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

গত সপ্তাহে পিডিএফ যোদ্ধারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের রাজধানীর কিছু অংশ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো শহর থেকে জান্তা বাহিনীকে বিতাড়ন করতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা

Update Time : ০৫:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধান দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং হুঁশিয়ার করে বলেন, সশস্ত্র সংগঠনগুলো যদি বোকার মতো এভাবে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে।

জান্তাপ্রধান বলেন, ‘সুতরাং আমাদের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। ওই সব সশস্ত্র সংগঠনকে তাদের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।’

মিয়ানমারে এক ডজনের বেশি সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর অনেকে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।

গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে যৌথভাবে হামলা শুরু করে। ওই প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতিসংঘের মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পর শিশুসহ ২৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানায়, দেশজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জান্তার সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার উৎখাত হওয়ার পর ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) গঠিত হয়। তারা মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

গত সপ্তাহে পিডিএফ যোদ্ধারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের রাজধানীর কিছু অংশ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো শহর থেকে জান্তা বাহিনীকে বিতাড়ন করতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।