শিরোনাম:
আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবেনা, অপরাধীদের বিচার রাষ্ট্র করবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক টঙ্গীতে সেই দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কু পিয়ে হ ত্যা করেছে তাদের মা নোয়াদ্দা শুহাদায়ে কারবালা জামে মসজিদের কমিটি গঠন হাজীগঞ্জে ব্যবসায়ী, পরীক্ষার্থী ও জানমালের ক্ষতিসাধন ঠেকাতে মেলা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মেলার নামে অনিয়ম, চাঁদাবাজী এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির দায় বিএনপি বহন করবে না-আলহাজ্ব ইমাম হোসেন দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ  হাজীগঞ্জে সাড়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ হাজীগঞ্জের রামপুরে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, জড়িয়ে পড়লো কয়েকটি গ্রাম হাজীগঞ্জে সিগারেট পান করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক উৎসবমূখর পরিবেশে হাজীগঞ্জে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর পরিবেশে চাঁদপুরেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

নিরাপত্তাকর্মী থেকে বিসিএস ক্যাডার কৃষকের ছেলে মিহির

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বপ্ন, উদ্যম ও পরিশ্রমই জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি। শত বাধা বা দারিদ্র্য-কোনো কিছুই সফলতার পথ আটকাতে পারে না। সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোত্তালেব মিহির। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।

বগুড়ার বর্গাচাষির সন্তান হয়ে ছোটবেলা থেকেই তাকে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে মাঝপথে তার পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মোত্তালেব দমে যাননি। আর্থিক সংকটে পড়ে নানামুখী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করেছেন মোত্তালেব।

কখনো বাসাবাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ, কখনো প্রুফ রিডার ও টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। সেই সঙ্গে এগিয়ে গেছেন প্রতিজ্ঞ স্বপ্নের পথে। তার সেই পরিশ্রমই এখন যেন সফলতার সিঁড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাবুল ইসলাম ও জামিলা বিবির সন্তান এমএ মোত্তালেব মিহির। তিনি সাধারণ জ্ঞান জগতের বিশ্বস্ত বই প্রকাশনী মিহির’স রিসার্চ ও পাবলিকেশনের প্রতিষ্ঠাতা। মোত্তালেব জানিয়েছেন, মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। বিসিএস পর্যন্ত তার আসার পথটা কখনোই মসৃণ ছিল না।

গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যখন তিনি কলেজে ভর্তি হন, তখন তার পরিবারকে পড়তে হয় আর্থিক টানাপোড়নে। তাই কলেজের পড়াশোনাও তার কিছুদিন বন্ধ ছিল। তাই তাকে বাধ্য হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরিও নিতে হয়েছিল।

মোত্তালেব বলেন, বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি ম্যানের চাকরি করতাম। ডিউটি ছিল ১৬ ঘণ্টা। জীবনের কঠিন সময় তখনই কেটেছে। তখন বসে থেকে সময় কাটত না, তাই মাঝে মাঝে বই পড়তাম। একদিন ছুটি নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করি। সে ঢাকায় এসেছে কোচিং করে অ্যাডমিশন দেবে। তার কাছেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কে জানি। পড়াশোনার উদ্দীপনা আবারও জাগে। সিকিউরিটি চাকরির বেতন থেকে কিছু টাকা জমিয়ে ভর্তি হয়ে যাই একটি কোচিংয়ে। অবশেষে চান্স পাই ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ভর্তি হই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মোত্তালেব বলেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়া যতটা না কষ্টের তার থেকে বেশি কষ্টসাধ্য কাজ হচ্ছে লেগে থাকা। তাই, ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০