• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

নিরাপত্তাকর্মী থেকে বিসিএস ক্যাডার কৃষকের ছেলে মিহির

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বপ্ন, উদ্যম ও পরিশ্রমই জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি। শত বাধা বা দারিদ্র্য-কোনো কিছুই সফলতার পথ আটকাতে পারে না। সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোত্তালেব মিহির। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন।

বগুড়ার বর্গাচাষির সন্তান হয়ে ছোটবেলা থেকেই তাকে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে মাঝপথে তার পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মোত্তালেব দমে যাননি। আর্থিক সংকটে পড়ে নানামুখী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করেছেন মোত্তালেব।

কখনো বাসাবাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ, কখনো প্রুফ রিডার ও টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। সেই সঙ্গে এগিয়ে গেছেন প্রতিজ্ঞ স্বপ্নের পথে। তার সেই পরিশ্রমই এখন যেন সফলতার সিঁড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাবুল ইসলাম ও জামিলা বিবির সন্তান এমএ মোত্তালেব মিহির। তিনি সাধারণ জ্ঞান জগতের বিশ্বস্ত বই প্রকাশনী মিহির’স রিসার্চ ও পাবলিকেশনের প্রতিষ্ঠাতা। মোত্তালেব জানিয়েছেন, মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। বিসিএস পর্যন্ত তার আসার পথটা কখনোই মসৃণ ছিল না।

গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যখন তিনি কলেজে ভর্তি হন, তখন তার পরিবারকে পড়তে হয় আর্থিক টানাপোড়নে। তাই কলেজের পড়াশোনাও তার কিছুদিন বন্ধ ছিল। তাই তাকে বাধ্য হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরিও নিতে হয়েছিল।

মোত্তালেব বলেন, বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি ম্যানের চাকরি করতাম। ডিউটি ছিল ১৬ ঘণ্টা। জীবনের কঠিন সময় তখনই কেটেছে। তখন বসে থেকে সময় কাটত না, তাই মাঝে মাঝে বই পড়তাম। একদিন ছুটি নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করি। সে ঢাকায় এসেছে কোচিং করে অ্যাডমিশন দেবে। তার কাছেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কে জানি। পড়াশোনার উদ্দীপনা আবারও জাগে। সিকিউরিটি চাকরির বেতন থেকে কিছু টাকা জমিয়ে ভর্তি হয়ে যাই একটি কোচিংয়ে। অবশেষে চান্স পাই ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ভর্তি হই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মোত্তালেব বলেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়া যতটা না কষ্টের তার থেকে বেশি কষ্টসাধ্য কাজ হচ্ছে লেগে থাকা। তাই, ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০