অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। তবে প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কি আদৌ উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই! দৈনিক একাধিক ডিম খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, এমন ভাবনা আছে অনেকের মধ্যেই।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা- ডিমের জুড়ি মেলা ভার। তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া অবশ্যই এড়াতে হবে। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকলে একটি বা দুটি ডিম দৈনিক খাওয়া যেতেই পারে।
ডিমে অফুরান পুষ্টিগুণ। ডিমে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন। দ্রুত ওজন কমাতে প্রোটিনের জুড়ি মেলা ভার। একটি সিদ্ধ ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ ছয় গ্রামের একটু বেশি। কোলেস্টেরল থাকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম মতো।
এ ছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন এবং খনিজের ভান্ডার হল ডিম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটার পাশাপাশি একাধিক রোগব্যাধিও থাকবে দূরে।
যে কোনও মানুষ দিনে একটা ডিম খেতেই পারেন। তাতেই শরীরে অ্যালবুমিন নামক একটি প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকি ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারের মতো অসুখ থাকলেও রোজ একটা আস্ত ডিম খাওয়াই যায়। বরং না খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কাই বাড়বে।
কম বয়সীরা দিনে ২টা ডিম অনায়াসে খেতে পারেন। তবে বয়স ৩৫ এর পর দিনে একটা ডিমই যথেষ্ট। তাতেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল। এ ছাড়া আর ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল থাকলেও দিনে একটা ডিমই পর্যাপ্ত।
অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে বোধহয় কোলেস্টরল বাড়বে। তবে পুষ্টিবিদরা জানালেন, ডিমের কুসুমে খারাপ কোলেস্টেরল থাকলেও তা খুবই নগণ্য মাত্রায় রয়েছে। তাই দিনে একটা ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা তেমন একটা থাকে না বললেই চলে। তবে উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের দিনে একটার বেশি ডিম না খাওয়াই শ্রেয়।