তৃতীয় ধাপে কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন আগামী ২৯ মে ইভিএমএ ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২ মে কচুয়ায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। গত রবিবার যাচাই বাছাইয়ে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলার আওয়ামী লীগের সোহবার হোসেন সোহাগ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। বাকি ৫ জন বৈধ প্রার্থী হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহমেদ স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী ও জাতীয় পার্টির কচুয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈন উদ্দিন। এই ৫ প্রার্থীর মধ্যে গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থী শাহজাহান শিশিরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী করে পরাজিত হন ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন।
গত রবিবার যাচাই বাছাই শেষে আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়ায় কচুয়ার সর্বত্র তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে আনন্দ উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপি কচুয়ার নির্বাচনের মাঠে গণসংযোগ করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন। কচুয়াবাসীর কাছে গুতপুরের স্বপন ভাই হিসেবে তিনি সু-পরিচিত। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় কাউকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পরেই কচুয়ার জিরো পয়েন্টে (ডাকবাংলো) থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দোকান পাটের ব্যবসায়ী, অটোরিক্সচালাক, সিএনজি চালক ও জনসাধারনণের সাথে ভোট চেয়ে কৌশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসছেন ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন।
পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, আমাদের নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপনকে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ষড়ষন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত নির্বাচনে কচুয়ার ১০৯টি কেন্দ্রে মধ্যে ৯২ কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন ভাই জয়ী হয়েছিল। তারপরেও স্বপন ভাই জয়ী হতে পারেননি। কারচুপি নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদেরকে হারানো হয়েছে। এবার আমরা শতভাগ আশাবাদী আমার নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন ভাইকে বিজয়ের মালা পড়িয়ে ঘরে ফিরবো। কোন ষড়ষস্ত্র এবার আমাদের রুখতে পারবে না। কচুয়ার হাজার হাজার ভোটার নেতাকর্মী সমর্থন ও শুভাকাঙ্গীরা অপেক্ষার প্রহর গুণছে ২৯ মে ভোটের অপেক্ষায়। আমাদের এই বিজয় কেউ রুখতে পারবে না।
পালাখাল মডেল ইউনিয়নের যুব লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিকুর রহমান বলেন, কচুয়া উপজেলা উত্তর এবং দক্ষিণ দুইভাগে বিভক্ত। আমাদের নেতা ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন ভাই ২ নং পাথৈর ইউনিয়নের কৃতিসন্তান। আমরা ১ থেকে ৬ নং ইউনিয়ন বাসী এক হয়েছি স্বপন ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই। কোন ষড়ষন্ত্রই এবার আমাদের নেতা স্বপন ভাইকে রুখতে পারবে না।
একপ্রতিক্রিয়ায় ফয়েজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন আশা করছি। গত নির্বাচনে আপনারা কচুয়ার জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছেন কিন্তু কারচুপির মাধ্যেমে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ১৭ কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে তাকে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। আমি ৯২ কেন্দ্রে জয়লাভ করেও বিজয় চিনিয়ে আনতে পারিনি। সুক্ষ¥ ষড়ষন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারও আসছি আপনাদের মাঝে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো, গত বছরের ন্যায় এবারোও আমার পাশে আপনারা থাকবেন। সেই আশা ও প্রত্যাশা আপনাদের প্রতি আমার রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে কচুয়াকে মডেল স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এই কচুয়াকে মাদক মুক্ত ঘোষনা করবো যদি আপনারা পাশে থাকেন। আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনাদের একটি করে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে কচুয়াবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।
গণসংযোগ কালে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন টিটু, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, রাসেল আহম্মেদ, ইব্রাহিম মাস্টার নিলয়, সদর দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন মুন্সী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রধান, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সোহাগ, সাাবেক ইউপি সদস্য রাছেল মুন্সী অংশ নেয়।