ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাত লাখ ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • ৫৯ Time View

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উখিয়ার পাটোয়ারটেক এলাকায় একটি পাজেরো জিপ থেকে সাত লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইলপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৪০), দিল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬); গোদারবিল গ্রামের আবু ছৈয়দের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে নুরুল আবছার (৩৪)।

ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব। এতে ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. শরিফুল আহসান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা মো. শরিফুল আহসান বলেন, ইয়াবা বড়ির চালানটি ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও সেখান থেকে টেকনাফের মাদক কারবারিরা ইয়াবার চালানটি দেশে নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভের পাটোয়ারটেক সৈকত অংশে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে। সেখানে পাজেরো জিপটিকে থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নির্দেশনা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া দিয়ে গাড়িটি আটকের পর তল্লাশি চালিয়ে সাত লাখ ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, রাখাইন রাজ্যের সিরাজ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আবদুল আমিন এসব ইয়াবা সংগ্রহ করেন। আবদুল আমিন একসময় মুদিদোকানি ছিলেন। এরপর গরু ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বড়ি পাচার করে তিনি এখন কোটিপতি। গ্রেপ্তার মো. আবদুল্লাহ তাঁর ভাগনে। পাজেরো জিপটির মালিক মো. আবদুল্লাহ। আবদুল আমিনের বিরুদ্ধে ১১টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ২ থেকে ১০টি পর্যন্ত মাদকের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মামলার পর উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠার পর র‍্যাব-১৫ শতাধিক অভিযানে ৩ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল অবরুদ্ধ

সাত লাখ ইয়াবাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার

Update Time : ০৮:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উখিয়ার পাটোয়ারটেক এলাকায় একটি পাজেরো জিপ থেকে সাত লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইলপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৪০), দিল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬); গোদারবিল গ্রামের আবু ছৈয়দের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে নুরুল আবছার (৩৪)।

ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব। এতে ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. শরিফুল আহসান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা মো. শরিফুল আহসান বলেন, ইয়াবা বড়ির চালানটি ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও সেখান থেকে টেকনাফের মাদক কারবারিরা ইয়াবার চালানটি দেশে নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভের পাটোয়ারটেক সৈকত অংশে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে। সেখানে পাজেরো জিপটিকে থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নির্দেশনা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া দিয়ে গাড়িটি আটকের পর তল্লাশি চালিয়ে সাত লাখ ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, রাখাইন রাজ্যের সিরাজ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আবদুল আমিন এসব ইয়াবা সংগ্রহ করেন। আবদুল আমিন একসময় মুদিদোকানি ছিলেন। এরপর গরু ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বড়ি পাচার করে তিনি এখন কোটিপতি। গ্রেপ্তার মো. আবদুল্লাহ তাঁর ভাগনে। পাজেরো জিপটির মালিক মো. আবদুল্লাহ। আবদুল আমিনের বিরুদ্ধে ১১টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ২ থেকে ১০টি পর্যন্ত মাদকের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মামলার পর উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠার পর র‍্যাব-১৫ শতাধিক অভিযানে ৩ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।