ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদীর ঘাটে স্যুটকেসে মিললো নারীর মরদেহ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮১ Time View

ছবি-সংগৃহিত।

কলকাতার কুমারটুলির গঙ্গা নদীর ঘাটে স্যুটকেস থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি সাদা-নীল রঙের ট্যাক্সি থেকে দুজন নারী নেমে আসেন গঙ্গা নদীর ঘাটে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল একটি বেগুনি রঙের স্যুটকেস। স্যুটকেসটি তারা নদীর দিকে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুজনে মিলে টেনেও তা সরাতে পারছেন না। এতে সন্দেহ হয় যোগব্যায়ামকারীদের। তারা কাছে গিয়ে নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই নারী। তারা ব্যাগটি ধরতেও নিষেধ করছিলেন। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে স্যুটকেসটি খুললে রক্তমাখা কাপড়ে মোড়ানো এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়।

স্থানীয় যোগ প্রশিক্ষক রাজা সাউ বলেন, ‘ওই দুই নারী প্রথমে ব্যাগ খুলতে রাজি হয়নি। বলেছিল, ভেতরে ওদের ল্যাব্রাডর কুকুরের মরদেহ আছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি। একটা কুকুরের ওজন কত হবে? ৩০ থেকে ৪০ কেজি। তাই বলে দুজন মিলে ব্যাগটা টানতে পারবে না?’

প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই বিতর্কের মধ্যে আশপাশে আরও ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ জড়ো হয়ে যান। একপর্যায়ে এক নারী স্বীকার করেন, ব্যাগের ভেতরে তার বৌদি সুমিতা ঘোষের মরদেহ রয়েছে। যিনি এক দিন আগে আত্মহত্যা করেছেন। তখন স্থানীয়রা প্রশ্ন করেন, ‘আত্মহত্যা করলে মরদেহ কেন এভাবে সরাতে হবে? এমন হলে তো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, পুলিশকে খবর দেয়া উচিত ছিল।’

পরবর্তীতে পুলিশ এসে দুই নারীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষ। নিহত সুমিতা ঘোষ ছিলেন ফাল্গুনীর কাকিমা।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তারা কাজীপাড়া থেকে ট্রেনে কুমারটুলি এসেছেন। কিন্তু মধ্যমগ্রামের এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা একটি ভ্যানগাড়িতে ব্যাগটি নিয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে আসেন এবং সেখান থেকে সরাসরি কুমারটুলিতে আসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

নদীর ঘাটে স্যুটকেসে মিললো নারীর মরদেহ

Update Time : ১১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কলকাতার কুমারটুলির গঙ্গা নদীর ঘাটে স্যুটকেস থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি সাদা-নীল রঙের ট্যাক্সি থেকে দুজন নারী নেমে আসেন গঙ্গা নদীর ঘাটে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল একটি বেগুনি রঙের স্যুটকেস। স্যুটকেসটি তারা নদীর দিকে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুজনে মিলে টেনেও তা সরাতে পারছেন না। এতে সন্দেহ হয় যোগব্যায়ামকারীদের। তারা কাছে গিয়ে নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই নারী। তারা ব্যাগটি ধরতেও নিষেধ করছিলেন। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে স্যুটকেসটি খুললে রক্তমাখা কাপড়ে মোড়ানো এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়।

স্থানীয় যোগ প্রশিক্ষক রাজা সাউ বলেন, ‘ওই দুই নারী প্রথমে ব্যাগ খুলতে রাজি হয়নি। বলেছিল, ভেতরে ওদের ল্যাব্রাডর কুকুরের মরদেহ আছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি। একটা কুকুরের ওজন কত হবে? ৩০ থেকে ৪০ কেজি। তাই বলে দুজন মিলে ব্যাগটা টানতে পারবে না?’

প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই বিতর্কের মধ্যে আশপাশে আরও ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ জড়ো হয়ে যান। একপর্যায়ে এক নারী স্বীকার করেন, ব্যাগের ভেতরে তার বৌদি সুমিতা ঘোষের মরদেহ রয়েছে। যিনি এক দিন আগে আত্মহত্যা করেছেন। তখন স্থানীয়রা প্রশ্ন করেন, ‘আত্মহত্যা করলে মরদেহ কেন এভাবে সরাতে হবে? এমন হলে তো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, পুলিশকে খবর দেয়া উচিত ছিল।’

পরবর্তীতে পুলিশ এসে দুই নারীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষ। নিহত সুমিতা ঘোষ ছিলেন ফাল্গুনীর কাকিমা।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তারা কাজীপাড়া থেকে ট্রেনে কুমারটুলি এসেছেন। কিন্তু মধ্যমগ্রামের এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা একটি ভ্যানগাড়িতে ব্যাগটি নিয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে আসেন এবং সেখান থেকে সরাসরি কুমারটুলিতে আসেন।