ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় ইট ভাটা মালিক সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ১০৫ Time View

কচুয়ায় ইট ভাটা মালিক সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান

ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা,জরিমানা,ভাঙচুর ও বন্ধের প্রতিবাদে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, কচুয়া উপজেলা শাখা। ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন আইন, বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে ইট মালিক সমিতির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় বক্তব্যে কচুয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির  সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম স্বপন পাঠান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী রবিন বলেন, ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমানে কয়লা সংকট সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইটভাটা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ, আলী আশরাফ, মনির হোসেনসহ আরো অনেকে।
পরে কচুয়া  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগণ বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপনে জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুটি রোজীর ব্যবস্থা আমরাই করেছি, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে।
এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইটভা টার বিপরীতে অনেক টাকার উপরে ব্যাংক লোন । এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমুদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ি থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান অত্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।আমরা আশা করছি মানীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার মাধ্যমেই ইটভাটা পরিচালনার একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।  তবে জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।পরিবেশগত ছাড়পত্র,ডি.সি লাইসেন্স,ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স,ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু। নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেয়ার বিধান থাকতে হবে।
এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। উপরিউক্ত দাবি সমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ ই মার্চ,২০২৫ ইং তারিখে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেন তাঁরা ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বিজয় দিবসের দিনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন চাঁদপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

কচুয়ায় ইট ভাটা মালিক সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান

Update Time : ১১:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা,জরিমানা,ভাঙচুর ও বন্ধের প্রতিবাদে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, কচুয়া উপজেলা শাখা। ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন আইন, বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে ইট মালিক সমিতির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় বক্তব্যে কচুয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির  সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম স্বপন পাঠান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী রবিন বলেন, ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমানে কয়লা সংকট সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইটভাটা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ, আলী আশরাফ, মনির হোসেনসহ আরো অনেকে।
পরে কচুয়া  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগণ বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপনে জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুটি রোজীর ব্যবস্থা আমরাই করেছি, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে।
এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইটভা টার বিপরীতে অনেক টাকার উপরে ব্যাংক লোন । এই ভাটা সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমুদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ি থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকগণ হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান অত্যন্ত আন্তরিক হলেও বর্তমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।আমরা আশা করছি মানীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার মাধ্যমেই ইটভাটা পরিচালনার একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।  তবে জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।পরিবেশগত ছাড়পত্র,ডি.সি লাইসেন্স,ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স,ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু। নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেয়ার বিধান থাকতে হবে।
এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। উপরিউক্ত দাবি সমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ ই মার্চ,২০২৫ ইং তারিখে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেন তাঁরা ।