কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও দোঘরের যাতায়াতের রাস্তাটি দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করে দেন সমাজসেবক ও উপজেলা বিএনপি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রবাসী বিএম কাউছার হোসেন। গতকাল বুধবার শ্রমিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ ফুট কাঁচা রাস্তায় ‘ইটের আদলা’ ও ‘বালু মাটি’ ফেলে মেরামত করে দিয়ে এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
জানা গেছে,এই সড়কটি কচুয়া-মতলব দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ হাটবাজারে মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। বর্তমানে রাস্তাটির সংস্কার করায় পথচারী ও ছোট বড় যানবাহনের চালকসহ স্থানীয়দের ভোগান্তি অনেকটা দূর হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তীর দুইটি গ্রামের লোকজন অনেক ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিরা অন্যান্য রাস্তা সংস্কার করে দিলেই,এ রাস্তায় ৩ যুগ ধরে উন্নয়ন ও সংস্কার হয়নি। এই রাস্তাটি বিভিন্ন যায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির মৌসুমে এই এলাকার লোকজনে এ রাস্তা চলাচল করতে গিয়ে অনেকে ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আমাদের কষ্ট ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ প্রবাসী বিএম কাউসার হোসেন নিজ অর্থায়নে ৫০০ ফুট রাস্তা সংস্কার করে দেন। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে মানুষ এখন উন্মুক্ত ও নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে।
তারা আরো জানান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ প্রবাসী বিএম কাউছার হোসেন এলাকায় অসহায়, দরিদ্র ও নিরীহ মানুষের পাশে থাকেন সব সময়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের পাশাপাশি, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখেন।
অটোরিক্সা চালকরা জানান, রাস্তায় বড় বড় খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি ও অটো চালাতে হতো। এতে যাত্রীদেরও খুব কষ্ট হতো। বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রবাসী বিএম কাউছার হোসেন তাঁর নিজ অর্থয়ানে রাস্তায় ইটের আদলা ও বালু মাটি ফেলে দেয়ায় আমাদের খুবই উপকার হয়েছে।
বিএম কাউছার হোসেন বলেন, এলাকার মানুষের জনদুর্ভোগ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি সংস্কার করে দেই। বিশেষ করে এলাকার মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি।