ঢাকা 4:39 pm, Wednesday, 15 October 2025

কচুয়ার কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী প্রতারণা করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

কুয়েত প্রবাসীকে বিয়ে করে নগদ টাকা ও সম্পত্তি মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করে স্বামীকে পথে বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা সাভারের ব্যাংক টাউন ৯নং ওয়ার্ডের বটতলার প্রবাসী রহিমা বেগমের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা আঁখি (৩৭)। ভুক্তভোগী চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামের মৃত ইসহাক মোল্লার ছেলে হেলাল উদ্দিন (৫০)। ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার করেন।

অভিযোগ সূত্রে ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে কুয়াতে প্রবাসে একটি মাদ্রাসায় চাকরি করি। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি ও শাশুড়ি রহিমা বেগম কুয়াতে থাকেন। আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ক্রমে ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বরে ইসলামি শরিয়াহ আইন মোতাবেক রাবেয়া সুলতানা আখির সাথে তার নিজ এলাকায় সাভার ব্যাংক টাউন দ্বিতীয় বিবাহ সম্পূর্ণ করি। বিবাহের পর আমি জানতে পারি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি পূর্বেও ২টি বিবাহ করেছে এবং তার প্রথম স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে। দুইটি বিবাহ গোপন করে নিজেকে কুমারী দাবি করে আমার সাথে বিবাহ বসেন । পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখির সাথে কুয়াতে বসবাস শুরু করি। ২০২১ সালে ১৮ নভেম্বর থেকে তিন দফায় স্ত্রী আঁখি, শাশুড়ি রহিমা বেগম ও তার বড় বোন রুনা আক্তার মিলে শাশুড়ি রহিমা বেগমের ৪ শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রি করবে বলে ১৪ লক্ষ টাকা, রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ এক লক্ষ টাকা, মোট ১৫ লক্ষ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে মে মাসের ১৫ তারিখে আমার ক্রয়কৃত জমি আমার নিজ নামে রেজেস্ট্রি করিয়া দিবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয়। আমার স্ত্রী, শাশুড়ি, মামাশ্বশুর, আমাকে ঢাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে দিবে বলে কয়েক ধাপে আমার কাছ থেকে ৩৮ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় । পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমি ও ফ্ল্যাট কোনটাই রেজিস্ট্রি করে দেয়নি । আমার ক্রয়কৃত জমি ও ফ্ল্যাটের কথা বললে বিবাদীদের আত্মীয়-স্বজন তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছবি পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা মোকাদ্দমার ভয়ভীতি হুমকি ধমকি প্রদান করেন । জমি ও ফ্ল্যাট উদ্ধার করার জন্য ২০২২ সালে ১৩ নভেম্বর কুয়েত আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি ২০২৩ সালে ৭ মার্চ আমার পক্ষে রায় আসে । বিবাদী আঁখির বিরুদ্ধে কুয়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। কুয়েত দূতাবাসে আমার স্ত্রী আমার থেকে নেওয়া যাবতীয় টাকা ও আমার দেওয়া ৬ শতাংশ জমি আমাকে ফিরিয়ে দিবে বলে একটি আম-মোক্তার দলিল দেন। পরে আমার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার আঁখির সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয়। কুয়েতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী চলিত বছরের মে মাসের ২৩ তারিখে আমার প্রথম স্ত্রীর ছেলের হবুবউ এর জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা,৮ ভরি স্বর্ণ ও একটি আইফোন মোবাইল সেট নিয়ে আসে। যাহা আমার প্রথম স্ত্রীর কাছে এখনো পৌছায়নি। আমি বাংলাদেশে এসে জানতে পারি চলতি বছরে জুলাই মাসের ১ তারিখে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে যাহা এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি এবং উক্ত বিষয়ে আমি বিবাদীগণদের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁরা আমাকে প্রাণ নাশ এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিবে মর্মে হুমকি ধমকি প্রদান করে।

হেলাল উদ্দিন আরো জানান, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি দেশে এসে উল্লেখিত বিবাদী ঢাকা সাভার থানার হিজলা গ্রামের মধ্যপাড়া বাতেন কম্পানির বাড়ির মৃত উজির আহমেদের মেয়ে মোসা: রুনা (আহন) কে কুরআনে হাত রেখে সমকামিতা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমার কাছে একাধিক অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ সংরক্ষিত রয়েছে।

এদিকে জীবনের কষ্টার্জিত সবকিছু হারিয়ে হেলাল উদ্দিন অবশেষে পথে বসেছেন। ন্যায় বিচার পেতে তিনি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের কাছে জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত বিবাদী রাবেয়া সুলতানা আঁখি ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

শাহরাস্তিতে রেলওয়ের সম্পত্তি নবায়ন করেও রেহাই পেল না  ১টি পরিবার

কচুয়ার কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী প্রতারণা করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Update Time : 12:07:21 am, Monday, 29 September 2025

কুয়েত প্রবাসীকে বিয়ে করে নগদ টাকা ও সম্পত্তি মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করে স্বামীকে পথে বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা সাভারের ব্যাংক টাউন ৯নং ওয়ার্ডের বটতলার প্রবাসী রহিমা বেগমের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা আঁখি (৩৭)। ভুক্তভোগী চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামের মৃত ইসহাক মোল্লার ছেলে হেলাল উদ্দিন (৫০)। ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার করেন।

অভিযোগ সূত্রে ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে কুয়াতে প্রবাসে একটি মাদ্রাসায় চাকরি করি। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি ও শাশুড়ি রহিমা বেগম কুয়াতে থাকেন। আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ক্রমে ২০১৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বরে ইসলামি শরিয়াহ আইন মোতাবেক রাবেয়া সুলতানা আখির সাথে তার নিজ এলাকায় সাভার ব্যাংক টাউন দ্বিতীয় বিবাহ সম্পূর্ণ করি। বিবাহের পর আমি জানতে পারি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি পূর্বেও ২টি বিবাহ করেছে এবং তার প্রথম স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে। দুইটি বিবাহ গোপন করে নিজেকে কুমারী দাবি করে আমার সাথে বিবাহ বসেন । পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখির সাথে কুয়াতে বসবাস শুরু করি। ২০২১ সালে ১৮ নভেম্বর থেকে তিন দফায় স্ত্রী আঁখি, শাশুড়ি রহিমা বেগম ও তার বড় বোন রুনা আক্তার মিলে শাশুড়ি রহিমা বেগমের ৪ শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রি করবে বলে ১৪ লক্ষ টাকা, রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ এক লক্ষ টাকা, মোট ১৫ লক্ষ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে মে মাসের ১৫ তারিখে আমার ক্রয়কৃত জমি আমার নিজ নামে রেজেস্ট্রি করিয়া দিবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয়। আমার স্ত্রী, শাশুড়ি, মামাশ্বশুর, আমাকে ঢাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে দিবে বলে কয়েক ধাপে আমার কাছ থেকে ৩৮ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় । পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমি ও ফ্ল্যাট কোনটাই রেজিস্ট্রি করে দেয়নি । আমার ক্রয়কৃত জমি ও ফ্ল্যাটের কথা বললে বিবাদীদের আত্মীয়-স্বজন তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছবি পাঠিয়ে মিথ্যা মামলা মোকাদ্দমার ভয়ভীতি হুমকি ধমকি প্রদান করেন । জমি ও ফ্ল্যাট উদ্ধার করার জন্য ২০২২ সালে ১৩ নভেম্বর কুয়েত আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি ২০২৩ সালে ৭ মার্চ আমার পক্ষে রায় আসে । বিবাদী আঁখির বিরুদ্ধে কুয়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। কুয়েত দূতাবাসে আমার স্ত্রী আমার থেকে নেওয়া যাবতীয় টাকা ও আমার দেওয়া ৬ শতাংশ জমি আমাকে ফিরিয়ে দিবে বলে একটি আম-মোক্তার দলিল দেন। পরে আমার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার আঁখির সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয়। কুয়েতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী চলিত বছরের মে মাসের ২৩ তারিখে আমার প্রথম স্ত্রীর ছেলের হবুবউ এর জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা,৮ ভরি স্বর্ণ ও একটি আইফোন মোবাইল সেট নিয়ে আসে। যাহা আমার প্রথম স্ত্রীর কাছে এখনো পৌছায়নি। আমি বাংলাদেশে এসে জানতে পারি চলতি বছরে জুলাই মাসের ১ তারিখে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে যাহা এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি এবং উক্ত বিষয়ে আমি বিবাদীগণদের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁরা আমাকে প্রাণ নাশ এবং আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিবে মর্মে হুমকি ধমকি প্রদান করে।

হেলাল উদ্দিন আরো জানান, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা আঁখি দেশে এসে উল্লেখিত বিবাদী ঢাকা সাভার থানার হিজলা গ্রামের মধ্যপাড়া বাতেন কম্পানির বাড়ির মৃত উজির আহমেদের মেয়ে মোসা: রুনা (আহন) কে কুরআনে হাত রেখে সমকামিতা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমার কাছে একাধিক অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ সংরক্ষিত রয়েছে।

এদিকে জীবনের কষ্টার্জিত সবকিছু হারিয়ে হেলাল উদ্দিন অবশেষে পথে বসেছেন। ন্যায় বিচার পেতে তিনি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের কাছে জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত বিবাদী রাবেয়া সুলতানা আঁখি ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।