কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জমিজমা বিরোধীদের জের ধরে প্রবাসী স্ত্রীর উপর হামলা ও বাড়ির মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই গ্রামের কালা গাজী প্রধানিয়া বাড়ির প্রবাসী কামাল উদ্দিনের স্ত্রী ভুক্তভোগী মোছাঃ নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা মামলার নং-১৯,তারিখ:- ২০/১০/২০২৫ইং ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী স্ত্রী বাদী নাছিমা বেগমের সাথে একই গ্রামের মৃত শফিউল্লার ছেলে বিবাদী নাছির উদ্দিন (৪০) ও গিয়াস উদ্দিন (৩০), মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে খোকন (৫০) ও শাহজাহান (৪০) এর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে ১৭ই অক্টোবর বিকেল ৪টার সময় বিবাদীগণরা দলবল নিয়ে বাদী নাছিমা বেগমের বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে দখলীয় ভূমি হতে গাছের চালতা, পেয়ারা, নারিকেলসহ ফলফলাদি পাড়া শুরু করে। বাদী নাছিমা বেগম বিবাদীদেরকে বাধা প্রদান করলে বিবাদীরা লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে কিলঘুষি লাথি মেরে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা রক্তাক্ত জখম করে এবং বাদীর পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে। বাদীর ডাক চিৎকার শুনে তার মেয়ে শিউলী আক্তার এগিয়ে আসলে বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন তাঁকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে কিলঘুষি লাথি মেরে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদী নাছির উদ্দিনের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাদী নাছিমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে প্রথম সাক্ষী শিউলী আক্তার প্রতিহত করলে তার ডান হাতের তরজনি আঙ্গুলসহ তিনটি আঙ্গুলের উপরে লেগে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। বিবাদীরা প্রথম সাক্ষীর পড়নে থাকা কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। এসময় তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। য়াহার মূল্য এক লক্ষ টাকা।
বাদী নাছিমা বেগম জানান, ২০১৪ সালে বিবাদী খোকনের কাছ থেকে সাড়ে ১৭ শতক জায়গা আমি ও আমরা বড়বোন মিলে ক্রয় করি। ২০১৬ সালে এসে বাড়ির কাজ শেষ করে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করলে নাছির উদ্দিন আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিতে পারলে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হতে হবে। চাঁদা ও কুপ্রস্তাবের বিষয়টি এলাকার লোকজনের কাছে অবগত করলে ওই থেকে সে আমার পিছনে লেগে পড়ে। ২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নাছির উদ্দিন আমার বাড়ির পশ্চিম পাশে ১১ শতক ৬৪ পয়েন্ট জায়গা ক্রয় করেন । আমার বসতবাড়ি গেসে অবৈধ বেকু দিয়ে অতিরিক্ত গভীর করায় আমার বিল্ডিংয়ে বিশাল বড় ফাটল দেখা দেয়। এই নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে নাছির উদ্দিন জোরপূর্বক আমার বসতবাড়িতে ৩শতক জায়গা পাবে বলে দখল করার জন্য পায়তারা শুরু করে। আমার বাড়ির লাগানো গাছের আম নারিকেলসহ সকল প্রকার ফল-ফলদ নিয়ে যায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করলে একাধিক বার আমাকে মেরে রক্তাক্ত যখন করে। নাছির উদ্দিনের এই অত্যাচারে থেকে কবে মুক্তি পাবো ।
তিনি আরো জানান, আমার স্বামী কামাল উদ্দিন সৌদি প্রবাসে থাকায় এই বাড়িতে আমি একাই বসবাস করি। প্রতিদিন নাছির উদ্দিন ও তার দলবল দিয়ে আমার বাড়িতে এসে বিল্ডিংয়ের দরজা-জানালা ভাংচুর করে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। বিভিন্ন সময় অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিয়ে ধর্ষন করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতা রয়েছি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিছ।
অভিযুক্ত নাছির উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল করে বাড়ি করে রেখেছেন নাছিমা বেগম। সে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
Reporter Name 
























