চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট বাজার এলাকায় প্রায় একমাস আগে প্রবাসী আবুল কালাম প্রধানিয়ার বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইলসহ মুল্যাবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ চুরির মামলায় আটককৃত সন্দেহভাজন ২জন রিমন হোসেন রকি খান ও আরাফ উদ্দিন প্রকাশ নয়নকে আদালতে প্রেরণ করলে তারা জামিন লাভ করে। জামিনে আসার পর থেকে মামলার বাদীসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক, টিকটক) সহ বিভিন্নভাবে হুমকির অভিযোগ উঠেছি।
এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর মামলার বাদী শাবনূরের স্বামী সালমান মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া ক্ষতিগ্রস্ত সালমান খাঁন।
সালমান জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ২৬ অক্টোবর আদালত থেকে চুরির মামলায় রিমন হোসেন রকি খান ও আরাফ উদ্দিন প্রকাশ নয়ন জামিন নেওয়ার পর অনলাইন সামাজিক মাধ্যেমে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এমনকি এই দুই জনের পরিবার আমাদের এলাকায় এসে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর রাতে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় প্রবাসী আবুল কালাম প্রধানিয়ার বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া ক্ষতিগ্রস্ত সালমান খানের বাড়িতে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইলসহ মুল্যাবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন ২২ অক্টোবর সালমানের স্ত্রী শাবনুর বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা করে। এদিকে মামলার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও জড়িত প্রধান আসামী আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। অন্যদিকে চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় সন্দেহভাজন আটক দুইজন জামিনে থাকায় চলমান মামলা নিয়েও উদ্বিগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন।
মামলায় জামিনে থাকা দুইজন হলেন- সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিমন হোসেন রকি ও কাশেম পাটওয়ারীর ছেলে আরাফ উদ্দিন নয়ন।
মামলার বাদী শাবনুর বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুই চোর সনাক্ত হয়। তাদেরকে পুলিশ আটক করে। তারা কিভাবে আবার জমিনে মুক্ত হয়, বলতে পারবো না। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করছি এবং আমার চুরি যাওয়া দুই ভরি স্বর্ণের চেইন, এক ভরি ওজনের দুটি বালা, দুটি স্যামসাং মোবাইল (এস-২০ ও এ-১২ মডেল) এবং নগদ ২২ হাজার টাকা ফেরত চাই।
ক্ষতিগ্রস্ত সালমান খান বলেন, প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও চুরির ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী আটক হয়নি। ২২ অক্টোবর আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করি। গত ২৬ অক্টোবর তারা জামিনে চলে আসে। ওইদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে জামিনে থাকা দুইজনসহ প্রধান আসামীকে আটক করার দাবী করছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরো জানান, আমি ও আমার পরিবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। আমার আহবান থাকবে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে চোরদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
এই বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন বলেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি( মো. বাহার মিয়া বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়৷ আসামী ধরার জন্যে অভিযান অব্যাহত আছে।
Reporter Name 






















