হাজীগঞ্জে আমির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বাসার গ্রিল কেটে ২০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকা চুরির খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ মকিমাবাদ এলাকার ছয়তলা ভবন আরএম মঞ্জিলের তিন তলার ফ্ল্যাটে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর সৌদিআরবে প্রবাস জীবন শেষ করে গত বছর একবারে দেশে চলে আসেন। পাশাপাশি গত তিনযুগ ধরে তিনি ও তার ছোট ভাই খোরশেদ আলম’সহ দুই ভাই হাজীগঞ্জ বাজারে টাইলস ও স্যানেটারী ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোমবার রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মুকুর চাকমা, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা’সহ অন্যান্য অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে ব্যবসায়ী আমির হোসেনের স্ত্রী, ছোট ছেলে ও মেয়ে তার শশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। তিনিও সোমবার মাগরিবের পূর্বে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে শশুর বাড়িতে যান। আবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ফিরে এসে দেখেন তার রুমের তালা ও আলমিরা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে।
আমির হোসেন জানান, তার ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে। তিন মেয়ে বিবাহিত। এর মধ্যে এক মেয়ে পর্তুগাল ও এক মেয়ে জাপান থাকেন। সোমবার সন্ধ্যার কোন এক সময়ে তার বাসার রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে চোর বা চোরচক্র। এরপর তার তিন কক্ষের দুইটি তালা ও আলমিরা ভেঙ্গে সব স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, তাদের ছয়তলা ভবনের পূর্বদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং দুইটি ভবন পাশাপাশি। এতে করে খুব সহজেই চোর তিনতলার ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে বাসায় প্রবেশ করে এবং আলমিরাতে রাখা তার স্ত্রী ও চার মেয়ের প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আনুমানিক ৫/৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
এদিকে চুরির বিষয়টি জানতে পেরে আমির হোসেনের স্ত্রী পারভীন বেগম অচেতন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। জনবহুল এমন স্থানে চুরির ঘটনায় ওই ভবন’সহ আশপাশে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ভবন ও ভবনের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ 



















