চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ গেট সংলগ্ন সড়ক কেটে ড্রেজার পাইপ বসিয়েছে বালু ব্যবসায়ীরা। সড়ক দিয়ে প্রশাসনের লোকজন চলাচল করলেও কারোই নজরে আসেনি। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কর্ণপাত করেনি ব্যবসায়ীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে ড্রেজার পাইপ শুধুমাত্র সড়ক কেটে বসানো হয়নি, পাশাপাশি শাহতলী-চাঁদপুর আঞ্চলিক সংযোগ সড়কের অধিকাংশ ব্যবহার করে এই ড্রেজার পাইপ বসানো হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মনু মিয়ার দোকান থেকে দক্ষিণে আক্কাছ মোল্লার দোকান পর্যন্ত প্রায় ৪০ফুট পাকা সড়ক কাটা হয়েছে।
ঘটনাস্থল এলাকার বেপারী বাড়ির আলম বেপারী বলেন, গত ১মাস পূর্বে রাতের আঁধারে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা বেকু দিয়ে সড়ক কেটে ড্রেজার পাইপ বসিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেও কোন কাজ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ড্রেজার ব্যবসায় জড়িত স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী খায়রুল বাসার। তাকে মোবাইল ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ড্রেজার ব্যবসায় সাথে জড়িত নয় বলে জানান। তবে তিনি বিষয়টি জানেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, প্রথমে ড্রেজার পাইপটি সড়কের ওপর দিয়ে নেয়া হয়। তিন সড়কের মোড় হওয়ায় যান চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সড়কের নিচে পাইপ বসনো হয়। কারা এই সড়ক কেটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা পাশবর্তী আশিকাটি ইউনিয়নের ড্রেজার ব্যবসায়ী।
এই বিষয়ে কথা হয় মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শংকর আচার্য্য এর সাথে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি। কিন্তু কিছুই করার নেই। জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই করা সম্ভব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই সড়ক দিয়ে একাধিকবার যাতায়াত করেছেন। কিন্তু তিনিত কিছু বলেননি। তবে এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাননো হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত আমিন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে গ্রামীন সড়ক পাকা করা এবং মেরামত করা। তবে যারা এই কাজ করেছে এটি খুবই বড় ধরণের অপরাধ। বিষয়টি প্রশাসনকি ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সন্ধ্যায় বিষয়টি ছবিসহ ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে অবগত করা হয় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. এন জামিউল হিকমাকে। তিনি বলেন, নিয়মবহির্ভূত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ড্রেজার পাইপ অপসারণ করবো।
Reporter Name 






















