চাঁদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত একটি সাহসী ও সম্মুখযোদ্ধা সৈনিকের নাম। ভালোবাসায় কেড়ে নিয়েছেন চাঁদপুরবাসীর মন। যার আন্তরিকতা, দক্ষ ও সাহসিকতায় উজ্জল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি।
কথায় কাজের বলিষ্টতায় মানুষের মধ্যে আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন তিনি, তৃপ্তির গর্বিত আওয়াজ তাকে নিয়ে অনেকের মাঝে। সেবার এক অনন্য অইকন হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি।
কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন। ১৩ ডিসেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চাঁদপুর সদর সার্কেলের দায়িত্ব নেন পুলিশের এই মানবিক কর্মকর্তা। তিনি যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করছেন।
ইয়াছির আরাফাত এর জন্ম ঝিনাইদহ জেলা সদরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষা জীবন শেষে করে ৩৪তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের জুনে সিএমপিতে যোগদানের পর শুরু হয় তার কর্মজীবন। সিএমপিতে স্টাফ অফিসারসহ চট্রগ্রাম গোয়েন্দা বিভাগেও কর্মরত ছিলেল। গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারসহ বেশ কয়েকটি বড় অভিযান সফল ভাবে পরিচালনা করেন।
পরবর্তীতে তিনি ২০২১ সালের জুন মাসে চাঁদপুরের মতলব সার্কেল হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
স্থানীয়রা জানান, তিনি সাধারণ মানুষের কথা মন দিয়ে শোনে। ফলে থানায় দালাল ও ঘুষের দৌরাত্ম্য নেই।
চাঁদপুরে যোগদানের পর কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন ছাড়াই মানুষ নিরন্তর সেবা পাচ্ছেন। বদলে গেছে থানা পুলিশের চিত্র। পাল্টে গেছে সেবার ধরন। বদলে গেছে পুলিশের আচরণ।
এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস নির্মূলসহ নানা কাজে পুলিশ ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।
ইয়াছির আরাফাত জানান, চাঁদপুর সদরে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও কিশোর গ্যাং এর বিষয়ে জিরোটলারেন্স নীতি গ্রহন করা হবে। এসকল অবৈধ কারবারের ব্যাপারে তার নজরদারী বেশি থাকবে। বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সম্পত্তি সংক্রান্ত সহ জনশৃঙ্খলা মূলক সব ধরনের অপরাধ দমনের মাধ্যমে চাঁদপুর পৌরসভা তথা চাঁদপুর থানাকে একটি অপরাধ মুক্ত বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি আরও বলেন, একজন মানুষের মধ্যে মানবিক গুন থাকাও জরুরি। সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গড়তে এগিয়ে যাব। সবার সহযোগিতা, ভালোবাসাই আমার এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। আপনারা পুলিশকে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশও জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে। মনে রাখবেন পুলিশ শুধু জনগণের বন্ধুই না সেবক। সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রমই সাফল্যের পথ দেখায়। পুলিশ সব সময়ই জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। এজন্য চাঁদপুরবাসীসহ সর্বমহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য: ইয়াছির আরাফাত সদা হাস্যোজ্জল দক্ষতাসম্পন্ন চৌকশ একজন সরকারি কর্মকর্তা, তিনি দক্ষতা দিয়ে কর্মকাণ্ডকে যেমনি সচল রেখেছেন তেমনি আন্তরিকতা দিয়ে সহকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বিচক্ষণ সরকারি কর্মকতা। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি সকলের নিকট প্রশংসনীয়।