ঢাকা 12:04 am, Tuesday, 5 August 2025

৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:28:05 am, Friday, 8 December 2023
  • 12 Time View
৮ ডিসেম্বর, হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
জানা যায়, তৎকালীন সময়ে ৭ ডিসেম্বর লাকসাম ও মুদাফ্ফরগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর চাঁদপুরে যৌথ বাহিনী প্রবেশ করে। ৬ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের উপর দিয়ে চাঁদপুর আসতে থাকলে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এ সময় ভারতের মাউন্ট্নে ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ আক্রমণ চালায়।
যৌথ বাহিনীর আক্রমনে এবং প্রায় ৩৬ ঘণ্টা তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে পাকিস্তানী বাহিনীর ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খান তার সেনাদের নিয়ে চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যান। যার ফলে ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর হানাদার মুক্ত হয়।

হাজীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু তাহের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমরা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন হানাদার বাহিনী মানসিক ও সামরিক দিক থেকে দূর্বল হয়ে পড়ে। তারা মিত্র বাহিনীর (যৌথ বাহিনীর) শক্তি ও সক্ষমতার কাছে হার মেনে হাজীগঞ্জ থেকে পালিয়ে পশ্চিম দিকে (চাঁদপুর হয়ে) চলে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

একটি রাজনৈতিক দল বায়তুল মালের নামে চাঁদাবাজি করে বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে-লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক

৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস

Update Time : 09:28:05 am, Friday, 8 December 2023
৮ ডিসেম্বর, হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুর। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
জানা যায়, তৎকালীন সময়ে ৭ ডিসেম্বর লাকসাম ও মুদাফ্ফরগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর চাঁদপুরে যৌথ বাহিনী প্রবেশ করে। ৬ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের উপর দিয়ে চাঁদপুর আসতে থাকলে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এ সময় ভারতের মাউন্ট্নে ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ আক্রমণ চালায়।
যৌথ বাহিনীর আক্রমনে এবং প্রায় ৩৬ ঘণ্টা তীব্র লড়াইয়ের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে পাকিস্তানী বাহিনীর ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খান তার সেনাদের নিয়ে চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যান। যার ফলে ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর হানাদার মুক্ত হয়।

হাজীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু তাহের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমরা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, তখন হানাদার বাহিনী মানসিক ও সামরিক দিক থেকে দূর্বল হয়ে পড়ে। তারা মিত্র বাহিনীর (যৌথ বাহিনীর) শক্তি ও সক্ষমতার কাছে হার মেনে হাজীগঞ্জ থেকে পালিয়ে পশ্চিম দিকে (চাঁদপুর হয়ে) চলে যায়।