ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জীবনদীপের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৯ Time View

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসিন আরাফাত।

”মানবের কল্যাণে তোমার জয় অনিবার্য, জীবন জয়ের হৃদ্যতা নিয়ে দাঁড়াও পাশে বন্ধু’ এই স্লোগানকে ধারণ করে পথচলা মানব উন্নয়ন সেবামূলক সংস্থা ‘জীবনদীপ’ -এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের ফিডার রোডস্থ জিবন্দীপের নিজস্ব কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসিন আরাফাত। প্রধান অলোচক ছিলেন, জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার।

জীবনদীপের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহার সভাপতিত্বে এবং পরিচালক মৃদুল কান্তি দাসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক দ্বীপক চক্রবর্তী, জীবনদীপের উপদেষ্টা বিমল চৌধুরী, অ্যাড. মাসুদ রানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালী জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাহত দিন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যখন জেনে গেলো তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন তারা একটি নীলনকশা করেছিলো। তারা বুঝতে পারলো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এই দেশটি গড়ে তুলতে বুদ্ধিজীবীরা মেধা ব্যায় করবেন। তাই সে নীলনকশার অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর দেশের বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা করে, তাদের ধরে ধরে এনে হত্যা করছে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করে দেয়া।

তিনি আরো বলেন, জীবনদীপ একটি সেবামূলক মানবিক সংগঠন। তারা মানুষ ও মানবতার জন্য কাজ করে। এ সংগঠনটি সমগ্র বাংলাদেশে অযস্র মানুষকে রক্ত দিয়েছে। আমরা যতটুকু জেনেছি জীবনদীপ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি সমৃদ্ধ এক ইতিহাস রয়েছে। আমরা এই সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। তারা যাতে আরো বেশি মানবকল্যান কাজ করে সে প্রত্যাশা রইলো। আমরা জীবনদীপের সাথে ছায়ার মত থাকবো।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর ল্যাবরেটরি স্কুলের উপদেষ্টা দুলাল চন্দ্র গোস্বামী, মৈশাদী সপ্রবির প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত কর, বিবেকানন্দ যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক পলাশ মুজুমদার, কবি ও গল্পকার অ্যাড. রফিকুজ্জামান রণি, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা বকুল, মরনত্তর দেহ দানকারী লিলা মজুমদার, রক্তদাতা এবং জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক, শিক্ষিকা কামরুন নাহার, জয়ন্তি ভৌমিক, নাজনীন হোসাইন, রক্তদাতা অ্যাড. শাহালম, দন্ত চিকিৎসক পিয়ম মজুমদার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লা মিয়া, গীতা পাঠ করেন জয়ন্তি ভৌমিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক বিথি কর্মকার, নুসরাত জাহান, সুমি শীল, ইভা, কাকলী, স্বপ্না ভট্টাচার্য, জীবনদীপের উপদেষ্টা ইসমাইল খান, রিয়াদ হোসেন, মো. রায়হান, তাপস, সদস্য মুশফিক, তাসরিফ, জাহান, শুভ, দ্বীপ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় এসএসসি ২০০০ ব্যাচ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বন্ধুত্বদের মিলন মেলা

জীবনদীপের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা

Update Time : ১১:২৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

”মানবের কল্যাণে তোমার জয় অনিবার্য, জীবন জয়ের হৃদ্যতা নিয়ে দাঁড়াও পাশে বন্ধু’ এই স্লোগানকে ধারণ করে পথচলা মানব উন্নয়ন সেবামূলক সংস্থা ‘জীবনদীপ’ -এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের ফিডার রোডস্থ জিবন্দীপের নিজস্ব কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসিন আরাফাত। প্রধান অলোচক ছিলেন, জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার।

জীবনদীপের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহার সভাপতিত্বে এবং পরিচালক মৃদুল কান্তি দাসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক দ্বীপক চক্রবর্তী, জীবনদীপের উপদেষ্টা বিমল চৌধুরী, অ্যাড. মাসুদ রানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালী জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাহত দিন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যখন জেনে গেলো তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন তারা একটি নীলনকশা করেছিলো। তারা বুঝতে পারলো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এই দেশটি গড়ে তুলতে বুদ্ধিজীবীরা মেধা ব্যায় করবেন। তাই সে নীলনকশার অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর দেশের বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা করে, তাদের ধরে ধরে এনে হত্যা করছে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করে দেয়া।

তিনি আরো বলেন, জীবনদীপ একটি সেবামূলক মানবিক সংগঠন। তারা মানুষ ও মানবতার জন্য কাজ করে। এ সংগঠনটি সমগ্র বাংলাদেশে অযস্র মানুষকে রক্ত দিয়েছে। আমরা যতটুকু জেনেছি জীবনদীপ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি সমৃদ্ধ এক ইতিহাস রয়েছে। আমরা এই সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। তারা যাতে আরো বেশি মানবকল্যান কাজ করে সে প্রত্যাশা রইলো। আমরা জীবনদীপের সাথে ছায়ার মত থাকবো।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর ল্যাবরেটরি স্কুলের উপদেষ্টা দুলাল চন্দ্র গোস্বামী, মৈশাদী সপ্রবির প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত কর, বিবেকানন্দ যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক পলাশ মুজুমদার, কবি ও গল্পকার অ্যাড. রফিকুজ্জামান রণি, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা বকুল, মরনত্তর দেহ দানকারী লিলা মজুমদার, রক্তদাতা এবং জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক, শিক্ষিকা কামরুন নাহার, জয়ন্তি ভৌমিক, নাজনীন হোসাইন, রক্তদাতা অ্যাড. শাহালম, দন্ত চিকিৎসক পিয়ম মজুমদার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লা মিয়া, গীতা পাঠ করেন জয়ন্তি ভৌমিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক বিথি কর্মকার, নুসরাত জাহান, সুমি শীল, ইভা, কাকলী, স্বপ্না ভট্টাচার্য, জীবনদীপের উপদেষ্টা ইসমাইল খান, রিয়াদ হোসেন, মো. রায়হান, তাপস, সদস্য মুশফিক, তাসরিফ, জাহান, শুভ, দ্বীপ।