ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই, ৭ লাখ টাকার ক্ষতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৪ Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে আগুন পুড়ে একটি বসতঘর ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের নতুন মৃধা বাড়ির (পোদ্দার বাড়ি) ফয়সাল মৃধর বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বসতঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি এবং দূর্বত্তদের দেয়া এই অগ্নিকাণ্ড বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে ওই বাড়ির মৃত লিয়াকত মৃধার ছেলে ফয়সাল মৃধার বসতঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারা নিজ উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওয়ারুক স্টেশন দিয়ে আসার পথে সড়কে প্রতিবন্ধকতার কারণে অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌছাতে পারেনি। যার ফলে বসতঘরটি আগুণে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের পূর্ব হাটিলা গ্রামের মৃধা বাড়ির লিয়াকত মৃধা গঙ্গানগর গ্রামের পোদ্দার বাড়িতে নতুন বাড়ি করেন। তিনি মারা যাওযার পর তার স্ত্রী ও ছেলে ফয়সালসহ দুই মেয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। এরমধ্যে ফয়সাল কাজের সুবাদে ঢাকায় এবং তার মা ও ছোটবোন হাজীগঞ্জে বড়বোনের বাসায় থাকেন। এরমধ্যে কিভাবে তাদের ঘরে আগুন লাগে, তা কেউ বুঝে ওঠতে পারছেন না।

তবে বসতঘরের ভিটির একটি অংশে সিঁধকাটা ছিল বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দূর্বত্তরা চুরি করে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছান। এসময় তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তারা সংবাদকর্মীদের জানান, ঘটনার দিন পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না এবং কারো সাথে তাদের দ্বন্দ্ব বা শত্রুতা নেই।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির হোসেন প্রধানীয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাতের আধাঁরে কে কাহারা মৃত লিয়াকত মৃধার বসতঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, পরিবারটি অসহায়। বসতঘরটি এমনভাবে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে যে, পরনের কাপড় ছাড়া তাদের কিছুই নেই। তাই, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি প্রশাসন ও বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার সংবাদকর্মীদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রশাসনকে আগুনের বিষয়টি জানিয়েছি। তাদেরকে সহযোগিতার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে জিডি করেছিলো এনসিপি নেত্রী রুমী

হাজীগঞ্জে বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই, ৭ লাখ টাকার ক্ষতি

Update Time : ০৮:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে আগুন পুড়ে একটি বসতঘর ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের নতুন মৃধা বাড়ির (পোদ্দার বাড়ি) ফয়সাল মৃধর বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বসতঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি এবং দূর্বত্তদের দেয়া এই অগ্নিকাণ্ড বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে ওই বাড়ির মৃত লিয়াকত মৃধার ছেলে ফয়সাল মৃধার বসতঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারা নিজ উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওয়ারুক স্টেশন দিয়ে আসার পথে সড়কে প্রতিবন্ধকতার কারণে অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌছাতে পারেনি। যার ফলে বসতঘরটি আগুণে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের পূর্ব হাটিলা গ্রামের মৃধা বাড়ির লিয়াকত মৃধা গঙ্গানগর গ্রামের পোদ্দার বাড়িতে নতুন বাড়ি করেন। তিনি মারা যাওযার পর তার স্ত্রী ও ছেলে ফয়সালসহ দুই মেয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। এরমধ্যে ফয়সাল কাজের সুবাদে ঢাকায় এবং তার মা ও ছোটবোন হাজীগঞ্জে বড়বোনের বাসায় থাকেন। এরমধ্যে কিভাবে তাদের ঘরে আগুন লাগে, তা কেউ বুঝে ওঠতে পারছেন না।

তবে বসতঘরের ভিটির একটি অংশে সিঁধকাটা ছিল বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দূর্বত্তরা চুরি করে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছান। এসময় তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তারা সংবাদকর্মীদের জানান, ঘটনার দিন পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না এবং কারো সাথে তাদের দ্বন্দ্ব বা শত্রুতা নেই।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির হোসেন প্রধানীয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাতের আধাঁরে কে কাহারা মৃত লিয়াকত মৃধার বসতঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, পরিবারটি অসহায়। বসতঘরটি এমনভাবে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে যে, পরনের কাপড় ছাড়া তাদের কিছুই নেই। তাই, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি প্রশাসন ও বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার সংবাদকর্মীদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রশাসনকে আগুনের বিষয়টি জানিয়েছি। তাদেরকে সহযোগিতার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।