চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম কলিম উল্যাহ আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে (ইন্নালিল্লাহেওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ৭ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে যান।
বীরমুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্যাহ মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গণের একেবারে সামনের সারির যোদ্ধা ছিলেন। তিনি হাজীগঞ্জ, শাহরস্তি, কচুয়া ও রামগঞ্জ অঞ্চলে যুদ্ধ করতেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্যাহ হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ, হাজীগঞ্জ কওমি মাদরাসার উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
শুক্রবার বাদ জুময়া হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের জানাযা শেষে মরহুমের মরদেহ গ্রামের বাড়ী বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নিজগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে মা-বাবার পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্যাহর জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মজিবুর রহমান, সাবেক কমান্ডার আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী, মোল্লা মাহমুদ হোসেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবদুল মান্নান খান, বনফুল সংঘের সভাপতি রোটা. রুহিদাস বণিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম, শামুসুজ্জামান মুন্সি, জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাসার, যুবদলের সাবেক আহবায়ক আকবর হোসেন মৃধা।