মোহাম্মদ উল্যাহ বুলবুল:
হাজীগঞ্জের বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ধাপা-চাপা দিতে উঠে পড়েলেগেছে স্থানীয় কয়েকজন ভাড়াটে যুবক। শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ বরাবরে দ্বরখাস্ত করেছে ভূক্তভোগীর মা ফেরদৌসি বেগম। লোকলজ্জার ভয়ে ওই শিক্ষার্থী মাদরাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
কয়েক দিন পূর্বে মাদরাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান জাকির হোসেন একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে পুরাতন বই নিয়ে নতুন বই দেয়া এবং পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে চাকুরী দেয়ার কথা বলতে বলতে ওই শিক্ষার্থীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়, ঘটনাটি মেয়ে তার বাবা-মাকে জানায়।
এ বিষয়ে মেয়ের মা ফেরদৌসী বেগম বিচার চেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি শোনানির জন্য দু’পক্ষকে নোটিশ করলে মেয়ের পক্ষ হাজির হলেও সহকারি লাইব্রেরিয়ান জাকির হোসেন হাজির হন নি।
সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান মেয়েটির গায়ে হাত দেয়া নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি সাবেক সচিব নাজমুল আহসান জানান আমি ঢাকায় আছি , মৌখিক একটি অভিযোগ শুনেছি।
লিখিত অভিযোগ পাইনি।
তবে মাদরাসার আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা বিভিন্ন সময় লাইব্রেরিতে বই আনতে গেলে সহকারি লাইব্রেরিয়ান জাকির হোসেন আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কৌশল হাত দেয়। মৌখিকভাবে অনেকবার এসব অভিযোগ করা হলে ও মাদরাসার অধ্যক্ষ বা ম্যানেজিং কমিটি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, সহকারি লাইব্রেরিয়ান জাকির হোসেনের একটি সিন্ডিকেট আছে। তারা আমাকে হুমকি দিয়েছে, আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই তারা, আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমি এ ভয়ে জাকিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।