নারীদের সাথে প্রতারণা করে সিসি ক্যামেরায় গোপন ভিডিও ধারণকারী সেই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাজ আলম।
ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তালেব গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল ফারনাজ আলম দেশের বাইরে ছিলেন। আমরা ইমিগ্রেশনকে আগেই তার বিষয়ে জানিয়ে রেখেছিলাম। আজ তিনি দেশে ফিরলে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের জানায়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পরে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে ধানমণ্ডি মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর এ মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন- এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) এবং এইচএম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।