ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি, সৌদি থেকে ফিরিয়ে আনা ২ যুবদল নেতা আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫৫ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ই–মেইলে হুমকি দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম আন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সৌদি সরকারের সহায়তায় হুমকিদাতা দুজনকে শনাক্ত করে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। তাঁরা যুবদলের নেতা বলেও জানায় সিটিটিসি। গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ই-মেইলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন দ্বীন ইসলাম ও কবির হোসেন। সিটিটিসি বলছে, সৌদি সরকারের সহায়তায় হুমকিদাতা দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করে ওই দুজনকে গত ২৯ জানুয়ারি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁরা এখন পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন।

আজ রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার কবির হোসেন সৌদি আরবে যুবদলের একাংশের সভাপতি। দ্বীন ইসলামও যুবদলের নেতা। দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে অন্য আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, হুমকির ই-মেইলটি পাওয়ার পর মিডিয়া সেন্টার থেকে সিটিটিসিকে জানানো হয়। তদন্ত শুরু করে হুমকিদাতা দ্বীন ইসলামকে শনাক্ত করেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার জন্য তাঁরা একটি নতুন মুঠোফোন কেনেন। নতুন একটি মেইল আইডি খুলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন। পরে মুঠোফোনটি নষ্ট করে ফেলা হয়। নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় ই–মেইল আইডি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, দ্বীন ইসলাম ও কবির হোসেন প্রায় ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি ও ব্যবসা করছেন। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে তাঁরা দেশবিরোধী নানা অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবের নারায়নপুরে ক্রয়কৃত সম্পত্তির চেয়ে অধিক জায়গা দখলের অভিযোগ

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি, সৌদি থেকে ফিরিয়ে আনা ২ যুবদল নেতা আটক

Update Time : ০২:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ই–মেইলে হুমকি দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম আন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সৌদি সরকারের সহায়তায় হুমকিদাতা দুজনকে শনাক্ত করে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। তাঁরা যুবদলের নেতা বলেও জানায় সিটিটিসি। গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ই-মেইলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন দ্বীন ইসলাম ও কবির হোসেন। সিটিটিসি বলছে, সৌদি সরকারের সহায়তায় হুমকিদাতা দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করে ওই দুজনকে গত ২৯ জানুয়ারি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁরা এখন পুলিশের রিমান্ডে রয়েছেন।

আজ রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার কবির হোসেন সৌদি আরবে যুবদলের একাংশের সভাপতি। দ্বীন ইসলামও যুবদলের নেতা। দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে অন্য আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, হুমকির ই-মেইলটি পাওয়ার পর মিডিয়া সেন্টার থেকে সিটিটিসিকে জানানো হয়। তদন্ত শুরু করে হুমকিদাতা দ্বীন ইসলামকে শনাক্ত করেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার জন্য তাঁরা একটি নতুন মুঠোফোন কেনেন। নতুন একটি মেইল আইডি খুলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন। পরে মুঠোফোনটি নষ্ট করে ফেলা হয়। নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় ই–মেইল আইডি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, দ্বীন ইসলাম ও কবির হোসেন প্রায় ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি ও ব্যবসা করছেন। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে তাঁরা দেশবিরোধী নানা অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত।