মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে ৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে চাঁদপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের অপচেষ্টায় দেশজুড়ে নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালোনোর প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার বাহিনী এবং সাধারণ জনগণ যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণে শোক প্রকাশের উদ্দেশ্যে সর্বস্তরের পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা এই কর্মসূচির সাথে একমত পোষণ করেন।
দেশের চলমান পরিস্থিতি অবসান, সব ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান এর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রজনজিত রায় চৌধুরী, চাঁদপুর গণি মডেল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী ও শরীফ চৌধুরী, সুজন চাঁদপুর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মেদ।
বিশিষ্ট ছড়াকার ও চিকিৎসক পীযুষ কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদরুল আলম চৌধুরী, খেরুদিয়া স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা মিলি প্রমূখ।
মানববন্ধনে পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, আল-আমিন একাডেমি স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দিলীপ চন্দ্র দাস, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রিয়াদ ফেরদৌস, সহ-সভাপতি মুনাওয়ার কানন, চাঁদপুর সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ডালিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদসহ চিকিৎসক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যে দাবী তা উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে সরকার সমাধান করেছেন। তারা যা দাবী করেছে তার চাইতে বেশী পেয়েছে। তাদের বাকী দাবীগুলোও পর্যায়ক্রমে সমাধান করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তারপরেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জামাত-শিবির ও বিএনপি প্রবেশ করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং আন্দোলনকে ভিন্ন রুপ দেয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের বলবো তোমরা শিক্ষাগণের ফিরে আস।
বক্তারা আরো বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী ছিলো কোটা সংস্কার। কিন্তু এই আন্দোলনের মধ্যে জামাত-শিবির ও বিএনপি প্রবেশ করে সরকারি বহু সম্পদ নষ্ট করেছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বিএনপি-জামাত কখনোই চায়নি আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে এদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাক। তারেক রহমান বিদেশে বসে উস্কানি দিচ্ছে এবং মির্জা ফখরুল ঘরে বসে মুচকি হাসছে। এদের অর্থদাতা কে? কিভাবে ঢাকায় ১লাখ মোবাইল সিম ডুকলো। ছাত্রদের পক্ষে কথা বলে কে এই ড. সায়মা। আমরা তাদেরকে চিনি ও সবই জানি। তাই এ মুহুর্তে আমাদের সকল শ্রেণী পেশার লোকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে।