মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
হাজীগঞ্জে সাংবাদিক এসএম মিরাজ মুন্সীর বড় বোন নাজমুন নাহার মুন্সীর (৫০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে এদিন বিকালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া এলাকার মুন্সী বাড়ির মৃত মাসুদ রানার স্ত্রী।
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে প্রায় বিছানাবন্দী ছিলেন নাজমুন নাহার মুন্সী। তিনি প্রতিদিন আগুন পোহাতেন। গত রোববার ভোররাতে আগুন পোহাতে গিয়ে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি শারিরিকভাবে নড়া-ছড়া করতে না পারায় এবং পরিবারের সদস্যরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকার কারণে তার পুরো শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় টের পেয়ে তার ছেলে দীপু তাকে উদ্ধার করে। এসময় দীপুও অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে।
পরে তার ডাক-চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দুইজনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে রেপার করা হয়। গত চারদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাজমুন নাহার মুন্সী এবং মঙ্গলবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ দিকে নাজমুন নাহার মুন্সীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুন্সী মোহাম্মদ মনির, সাধারণ সম্পাদক ও হাজীগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিফাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। এসময় আহত দীপুর সুস্থতা কামনা করেন তারা।
এছাড়াও মরহুমের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। উল্লেখ্য, নিহত নাজমুন নাহার মুন্সী একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিক রোগে ভুগছিলেন এবং ডায়াবেটিকে আক্রান্ত হয়ে তিনি গত তিন মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়িতে প্রায় বিছানা বন্দি ছিলেন। সবশেষ আগুনে তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে যায় এবং তিনি তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে যান।