ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকছে না অধিভুক্ত ৭ কলেজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭৮ Time View

ছবি-সংগৃহিত।

ঢাকার বড় সাতটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীন থাকছে না। এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মানজনক পৃথক্‌করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৪-২৫ সেশন থেকে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ভর্তি করা হবে না।

আজ সোমবার সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ এসব কথা জানান।

বৈঠক শেষে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে

১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্‌করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে;
২.
সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
৩.
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়;

8.
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসনসংখ্যা, ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে;
৫.
যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীন রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাঁদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন দুই সহ–উপাচার্য মামুন আহমেদ ও সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উপাচার্য বলেন, লিখিত বক্তব্যের বাইরে এই মুহূর্তে অন্য কোনো বক্তব্য না থাকায় কোনো প্রশ্ন নেওয়া হচ্ছে না। তবু সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকেরা উপাচার্যের কাছে জানতে চান, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সহ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগের যে দাবি তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ভাবছে? উপাচার্য এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যান। তাঁর সঙ্গে অন্য শিক্ষকেরাও চলে যান।

প্রায় আট বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও সমস্যাগুলো কাটেনি; বরং নতুন নতুন সমস্যা সামনে আসছে। শিক্ষাবিষয়ক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু কিছু ‘অবহেলা’র কারণে এখন ‘ইগো প্রবলেমও’ বড় হয়েছে। এ অবস্থায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বের হয়ে তাঁদের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি করে আসছেন। তবে তাঁরা স্পষ্ট করে বলছেন, কোনোভাবেই আগের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তাঁরা যাবেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকছে না অধিভুক্ত ৭ কলেজ

Update Time : ০৫:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকার বড় সাতটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীন থাকছে না। এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মানজনক পৃথক্‌করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৪-২৫ সেশন থেকে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ভর্তি করা হবে না।

আজ সোমবার সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ এসব কথা জানান।

বৈঠক শেষে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে

১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্‌করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে;
২.
সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়;
৩.
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়;

8.
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসনসংখ্যা, ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে;
৫.
যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীন রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাঁদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন দুই সহ–উপাচার্য মামুন আহমেদ ও সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উপাচার্য বলেন, লিখিত বক্তব্যের বাইরে এই মুহূর্তে অন্য কোনো বক্তব্য না থাকায় কোনো প্রশ্ন নেওয়া হচ্ছে না। তবু সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকেরা উপাচার্যের কাছে জানতে চান, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সহ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগের যে দাবি তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ভাবছে? উপাচার্য এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যান। তাঁর সঙ্গে অন্য শিক্ষকেরাও চলে যান।

প্রায় আট বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও সমস্যাগুলো কাটেনি; বরং নতুন নতুন সমস্যা সামনে আসছে। শিক্ষাবিষয়ক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু কিছু ‘অবহেলা’র কারণে এখন ‘ইগো প্রবলেমও’ বড় হয়েছে। এ অবস্থায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বের হয়ে তাঁদের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি করে আসছেন। তবে তাঁরা স্পষ্ট করে বলছেন, কোনোভাবেই আগের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তাঁরা যাবেন না।