গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় হামলার ঘটনায় আহত আবুল কাশেম (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত আবুল কাশেম গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার হাজি জামালের ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর শাখার মুখপাত্র বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর প্রথম ও গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কখন হবে, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন কোনো কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গত শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা হামলা ও ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে যান। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়। এতে ১৭ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ মোল্লা নামের একজনকে। এলাকায় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ মামলায় সর্বশেষ ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।