ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • ৮২ Time View

হাজীগঞ্জে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিন সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত (দুই ঘন্টা) উপজেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন। তিনি জানান, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির পূর্বের সংলাপগুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধু এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে, আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো। এনআইডি ইসির অধীনে থাকবে, এটি যৌক্তিক দাবি। এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে, এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে যে এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। ডাটাবেজ একটা। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যাহত হবে। এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় ভাটা পড়বে। এনআইডির জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সুতরাং এটি এখানেই থাকা দরকার।

নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন আরো বলেন, আলাদা অথরিটি কিংবা কমিশন গঠণ হলে নতুন করে স্থাপনা, জনবল, সার্ভারসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা অপচয়। আমরা মনে করি, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের জনগণের টাকা অপচয় করা হবে। এছাড়াও জনগণের তথ্য বেহাত অর্থাৎ ভোটার তালিকা অরক্ষিত হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনস্বার্থে যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মোতাবেক যে কর্মসূচি আসবে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।

অবস্থান কর্মসূচিতে সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার চয়ন চন্দ্র সরকার, অফিস সহায়ক শুক্কুর আলী, ডাটা এন্টি অপারেটর মাহেদুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম শান্ত, নাঈম ঈসলাম, সিকিউরিটি স্টাফ আল আমিন, নিরাপত্তা প্রহরী সাবরীন সহ, স্থানীয় ও এলাকাবাসী এবং সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মহান বিজয় দিবস পালনকল্পে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের প্রস্তুতি সভা

হাজীগঞ্জে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

Update Time : ০৯:৩৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিন সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত (দুই ঘন্টা) উপজেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন। তিনি জানান, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির পূর্বের সংলাপগুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধু এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে, আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো। এনআইডি ইসির অধীনে থাকবে, এটি যৌক্তিক দাবি। এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে, এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে যে এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। ডাটাবেজ একটা। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যাহত হবে। এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় ভাটা পড়বে। এনআইডির জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সুতরাং এটি এখানেই থাকা দরকার।

নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন আরো বলেন, আলাদা অথরিটি কিংবা কমিশন গঠণ হলে নতুন করে স্থাপনা, জনবল, সার্ভারসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা অপচয়। আমরা মনে করি, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের জনগণের টাকা অপচয় করা হবে। এছাড়াও জনগণের তথ্য বেহাত অর্থাৎ ভোটার তালিকা অরক্ষিত হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনস্বার্থে যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মোতাবেক যে কর্মসূচি আসবে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।

অবস্থান কর্মসূচিতে সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার চয়ন চন্দ্র সরকার, অফিস সহায়ক শুক্কুর আলী, ডাটা এন্টি অপারেটর মাহেদুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম শান্ত, নাঈম ঈসলাম, সিকিউরিটি স্টাফ আল আমিন, নিরাপত্তা প্রহরী সাবরীন সহ, স্থানীয় ও এলাকাবাসী এবং সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।