ঢাকা 1:32 am, Wednesday, 2 July 2025

রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা, ধরাছোঁয়ার বাহিরে গডফাদার

কচুয়া রহিমা নগর বাজারে একটি দোকানে চাঁদাবাজির সিসিটিভি ফুটেজেরে ছবি। ইনসেটে ভাই বাহিনীর প্রধান ওবায়েদউল্যাহ ভুলন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা। মামলা করার পরেও পাচ্ছেনা নিস্তার। মূলত; চাঁদাবাজদের গডফাদার ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকায় কয়েকজন জেলে গেলেও নতুন করে চাঁদাবাজের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত বাজারের ব্যবসায়ীরা। রহিমানগর বাজারের অনেক বিএনপি নেতা চাঁদাবাজদের কারণে দোকানপাট বন্ধ রাখছেন।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন অনেক বিএনপি নেতা গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতিত। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নতুন করে আরেক সমস্যায় পড়ছি। আমরা বিএনপি করলেও, বিএনপির নাম বিক্রয় করে স্থানীয় কিছু কিশোরগ্যাং ও সন্ত্রাসী দল সৃষ্টি করে বলরা গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন রহিমানগর বাজারে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে। অনেক দোকানে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি করাচ্ছে। তবে কোথাও সে না গিয়ে তার বাহিনী পাঠায়। তাকে ফোন করলে, সে কৌশলে এড়িয়ে যায়। কোন কোন দোকানদারকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে মাসিক চাঁদা দিতে বলে। রহিমনগরের ব্যবসায়ীরা এ চাঁদাবাজ ভাই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

আরো পড়ুন –স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে জামায়াত নেতার বাড়ীতে নারীর অবস্থান

একটি চাঁদাবাজির অভিযোগে কচুয়া থানায় মামলাও হয়েছে। ওই ঘটনায় ২জন আটক আছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গডফাদারের নাম বেরিয় আসবে।

রহিমানগর যাত্রী ছাউনির ৪নং দোকানের মালিক ও বিএনপি নেতা দ্বীন ইসলাম বলেন, আমি যে দোকানটির মালিক তা মালিক পক্ষ ১৯-১২-০৭ সালে জেলা পরিষদ থেকে ৯৯ বছরের জন্য লীজ নিয়েছে। আমি এ দোকানে ব্যবসা পরিচালান করে আসছি। ৫ আগস্টের পরেও সব ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ একদিন স্থানীয় মো. জিলানী, সুজন মিয়া, সোহাগ মিয়া, জাকির হোসেন, মিজান, কাউছার ও ফারুক হোসেনসহ আরও ৭-৮ জন দল বেঁধে দোকান গিয়ে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। শুধু তাই নয়, তারা ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার জোর-জবর-দস্তি শুরু। এক পর্যায়ে তারা ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন তাদেরকে পাঠিয়েছে বলে জানান। আমি সাথে সাথে ওবায়েদ উল্লাহ ভুলনকে ফোন করলে, সে কয়েক সেকে- কথা বলে, লাইন কেটে দেয়। এর পর যতবারই ফোন করেছি, সে ফোন ধরেনি।

আরো পড়ুন-রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজি, ২ চাঁদাবাজ গ্রেফতার, বহাল তবিয়তে গডফাদার

তিনি জানান, ভাই বাহিনীকে চাঁদা না দেয়ায় তারা আমিসহ আরো কয়েকটি দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। থানায় চাঁদাবাজির মামলার পর, পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। ওসির নির্দেশে আমি শুক্রবার (২ মে) তালা ভেঙ্গে দোকানে ঢুকে ব্যবসা করছি। তবে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। অন্যান্য চাঁদাবাজরা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে নিয়মিত হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে। গড ফাদার এখনো বাহিরে। ভাই বাহিনীর প্রধানকে দ্রুত আটক করার দাবী জানান তিনি।

যাত্রী ছাউনির আরেক ব্যবসায়ী (৫নং দোকান) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, আমার কাছে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয় এবং ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার আমার দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। শনিবার দোকানের এক সাটারের তালা খুলেছি। রবিবার (৪ মে) দোকান খুলবো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন মুঠোফোনে বলেন, যেসব চাঁদাবাজির অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। রহিমানগর বাজারে কোন ব্যবসায়ী সমিতি নেই।

এ বিষয়ে রহিমানগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা হাজী কবির জানান, ওবায়েদউল্লাহর “ভাই বাহিনীর” কাছে আমরা জিম্মি। চাঁদাবাজির মামলায় ভাই বাহিনীর কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য তিনি অন্য চাঁদাবাজ ও তাদেরকে গ্রেফতারের অনুরোধ জানান।

এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমি রহিমানগর বাজার ডাক এনেছি। যাতে বিগত ১৭ বছর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা কাজ করে খেতে পারে। কিন্তু ডাক আনার পর বাজারের ইজারা তুলতে গেলে ভাই বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লোকজনকে ইজারার টাকা উঠাতে বাঁধা দেয়। ওই বাহিনীর সাথে কথা বললে তারা বলে ওবায়েদ ভাই এর সাথে কথা বলেন। মুল কথা হলো ঘটনা যাই ঘটে, সেখানেই বলে ওবায়েদ ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। ওবায়েদ উল্লাহ ভুলনের কাছে রহিমানগর বাজারের ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষেতে ২জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ওবায়েদ নামে একজনের নামে অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আমরা দেখছি।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, রহিমানগর বাজারের বিষয়টি আমি জানি। এ বিষয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ২জনকে পুলিশকে আটক করেছে। অন্যদেরও আটকের চেস্টা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রহিমানগর বাজার ইজারা যে পেয়েছে, তাকে যদি ওবায়েদ বা তার বাহিনী ইজারার টাকা তুলতে বাঁধা দেয়, তাহলে সে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা সহযোগিতা করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

পিআর পদ্ধতির উপযোগিতা ভেবে দেখার অনুরোধ তারেক রহমানের

রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা, ধরাছোঁয়ার বাহিরে গডফাদার

Update Time : 10:34:08 am, Sunday, 4 May 2025

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা। মামলা করার পরেও পাচ্ছেনা নিস্তার। মূলত; চাঁদাবাজদের গডফাদার ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকায় কয়েকজন জেলে গেলেও নতুন করে চাঁদাবাজের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত বাজারের ব্যবসায়ীরা। রহিমানগর বাজারের অনেক বিএনপি নেতা চাঁদাবাজদের কারণে দোকানপাট বন্ধ রাখছেন।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন অনেক বিএনপি নেতা গত ১৭ বছর ধরে নির্যাতিত। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নতুন করে আরেক সমস্যায় পড়ছি। আমরা বিএনপি করলেও, বিএনপির নাম বিক্রয় করে স্থানীয় কিছু কিশোরগ্যাং ও সন্ত্রাসী দল সৃষ্টি করে বলরা গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন রহিমানগর বাজারে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে। অনেক দোকানে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি করাচ্ছে। তবে কোথাও সে না গিয়ে তার বাহিনী পাঠায়। তাকে ফোন করলে, সে কৌশলে এড়িয়ে যায়। কোন কোন দোকানদারকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে মাসিক চাঁদা দিতে বলে। রহিমনগরের ব্যবসায়ীরা এ চাঁদাবাজ ভাই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

আরো পড়ুন –স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে জামায়াত নেতার বাড়ীতে নারীর অবস্থান

একটি চাঁদাবাজির অভিযোগে কচুয়া থানায় মামলাও হয়েছে। ওই ঘটনায় ২জন আটক আছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গডফাদারের নাম বেরিয় আসবে।

রহিমানগর যাত্রী ছাউনির ৪নং দোকানের মালিক ও বিএনপি নেতা দ্বীন ইসলাম বলেন, আমি যে দোকানটির মালিক তা মালিক পক্ষ ১৯-১২-০৭ সালে জেলা পরিষদ থেকে ৯৯ বছরের জন্য লীজ নিয়েছে। আমি এ দোকানে ব্যবসা পরিচালান করে আসছি। ৫ আগস্টের পরেও সব ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ একদিন স্থানীয় মো. জিলানী, সুজন মিয়া, সোহাগ মিয়া, জাকির হোসেন, মিজান, কাউছার ও ফারুক হোসেনসহ আরও ৭-৮ জন দল বেঁধে দোকান গিয়ে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। শুধু তাই নয়, তারা ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার জোর-জবর-দস্তি শুরু। এক পর্যায়ে তারা ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন তাদেরকে পাঠিয়েছে বলে জানান। আমি সাথে সাথে ওবায়েদ উল্লাহ ভুলনকে ফোন করলে, সে কয়েক সেকে- কথা বলে, লাইন কেটে দেয়। এর পর যতবারই ফোন করেছি, সে ফোন ধরেনি।

আরো পড়ুন-রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজি, ২ চাঁদাবাজ গ্রেফতার, বহাল তবিয়তে গডফাদার

তিনি জানান, ভাই বাহিনীকে চাঁদা না দেয়ায় তারা আমিসহ আরো কয়েকটি দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। থানায় চাঁদাবাজির মামলার পর, পুলিশ ২জনকে আটক করেছে। ওসির নির্দেশে আমি শুক্রবার (২ মে) তালা ভেঙ্গে দোকানে ঢুকে ব্যবসা করছি। তবে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। অন্যান্য চাঁদাবাজরা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে নিয়মিত হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে। গড ফাদার এখনো বাহিরে। ভাই বাহিনীর প্রধানকে দ্রুত আটক করার দাবী জানান তিনি।

যাত্রী ছাউনির আরেক ব্যবসায়ী (৫নং দোকান) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, আমার কাছে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয় এবং ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার আমার দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। শনিবার দোকানের এক সাটারের তালা খুলেছি। রবিবার (৪ মে) দোকান খুলবো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওবায়েদ উল্লাহ ভুলন মুঠোফোনে বলেন, যেসব চাঁদাবাজির অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। রহিমানগর বাজারে কোন ব্যবসায়ী সমিতি নেই।

এ বিষয়ে রহিমানগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা হাজী কবির জানান, ওবায়েদউল্লাহর “ভাই বাহিনীর” কাছে আমরা জিম্মি। চাঁদাবাজির মামলায় ভাই বাহিনীর কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য তিনি অন্য চাঁদাবাজ ও তাদেরকে গ্রেফতারের অনুরোধ জানান।

এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমি রহিমানগর বাজার ডাক এনেছি। যাতে বিগত ১৭ বছর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা কাজ করে খেতে পারে। কিন্তু ডাক আনার পর বাজারের ইজারা তুলতে গেলে ভাই বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লোকজনকে ইজারার টাকা উঠাতে বাঁধা দেয়। ওই বাহিনীর সাথে কথা বললে তারা বলে ওবায়েদ ভাই এর সাথে কথা বলেন। মুল কথা হলো ঘটনা যাই ঘটে, সেখানেই বলে ওবায়েদ ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। ওবায়েদ উল্লাহ ভুলনের কাছে রহিমানগর বাজারের ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার নলেজে আছে। এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষেতে ২জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ওবায়েদ নামে একজনের নামে অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি আমরা দেখছি।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, রহিমানগর বাজারের বিষয়টি আমি জানি। এ বিষয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ২জনকে পুলিশকে আটক করেছে। অন্যদেরও আটকের চেস্টা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রহিমানগর বাজার ইজারা যে পেয়েছে, তাকে যদি ওবায়েদ বা তার বাহিনী ইজারার টাকা তুলতে বাঁধা দেয়, তাহলে সে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা সহযোগিতা করবো।