ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিমান হারিয়ে বড় ধরণের ক্ষতির মূখে ভারত, যুদ্ধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৮০ Time View

ছবি-সংগৃহিত।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ভারতের তিনজন নিহত হয়েছেন।

অপর দিকে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় শিশুসহ ৮জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৩জন।

এ দিকে ৩টি রাফায়েল, ১টি মিগ ২৯ ও ১টি সুখেই সহ মোট ৫টি যুদ্ধ বিমান হারিয়ে বড় ধরণের ক্ষতি মুখে পড়েছে ভারত। এতে যুুদ্ধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা।

বুধবার (৭ মে) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করে বলেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ‍ফিরে এসেছে।

 

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের চারটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মিরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ধ্বংসপ্রাপ্ত জেটের মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক সামরিক মুখপাত্র।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংস করেছে এবং একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র গুলি বিনিময় চলছে।

পাকিস্তানের বিমান ভূপাতিত করার দাবি সম্পর্কে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এসব যুদ্ধবিমান ধ্বংস হলে তা হবে কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। ফলে যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি এক সন্ত্রাসী হানায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করছে, অন্যদিকে পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। অন্যদিকে, ভারতীয় হামলাকে ‘বিনা প্ররোচনায় কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান। তারা পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত দেশের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উত্তর ভারতগামী ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

যুদ্ধবিমান হারিয়ে বড় ধরণের ক্ষতির মূখে ভারত, যুদ্ধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

Update Time : ০৯:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এছাড়া ভারতের তিনজন নিহত হয়েছেন।

অপর দিকে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় শিশুসহ ৮জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৩জন।

এ দিকে ৩টি রাফায়েল, ১টি মিগ ২৯ ও ১টি সুখেই সহ মোট ৫টি যুদ্ধ বিমান হারিয়ে বড় ধরণের ক্ষতি মুখে পড়েছে ভারত। এতে যুুদ্ধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা।

বুধবার (৭ মে) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করে বলেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ‍ফিরে এসেছে।

 

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের চারটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মিরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) ধ্বংসপ্রাপ্ত জেটের মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক সামরিক মুখপাত্র।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে ভারতীয় সেনাদের ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংস করেছে এবং একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র গুলি বিনিময় চলছে।

পাকিস্তানের বিমান ভূপাতিত করার দাবি সম্পর্কে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এসব যুদ্ধবিমান ধ্বংস হলে তা হবে কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি। ফলে যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি এক সন্ত্রাসী হানায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করছে, অন্যদিকে পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। অন্যদিকে, ভারতীয় হামলাকে ‘বিনা প্ররোচনায় কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান। তারা পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত দেশের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উত্তর ভারতগামী ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।