ঢাকা 12:23 pm, Wednesday, 3 September 2025

চাঁদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার পরকীয়া প্রেম, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরকীয়া প্রেমিক আটক

রফিকুল ইসলাম

চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেম ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ইউসিবি ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মডেল থানার এসআই নুরুল আমিন অভিযুক্ত ইউসিবি ব্যাংক বাবুরহাট আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য থানায় নিয়ে আসেন।

অভিযোগের বাদী ভুক্তভোগী মেহেদী আল মাহমুদ জানায়, ‘ইউ সি বি ব্যাংক পাল বাজার প্রধান শাখায় একাউন্টে লেনদেন করতে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। স্ত্রীকে ইউরোপ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার নাম ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে সে। তার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়ানোর পর থেকে তার স্ত্রী সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে স্ত্রীকে বাবুরহাট রোডের মাথায় ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে একসাথে ধরা হয়।’

এ সময় রফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন রক্ষা করে। তারপর থেকে স্ত্রী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর পালবাজার ইউ সি বি ব্যাংক থেকে বদলি হয়ে বাবুরহাট উপ শাখার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে রফিকুল ইসলামকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাঁদপুর পাল বাজার ইউ সি বি ব্যাংক ম্যানেজার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে তদবির করতে শুরু করে ও বাদীকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানায়, ব্যাংকে লেনদেন করতে এসে মেহেদী আল মাহমুদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক হয়েছে। নোয়াখালী জেলায় তার প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকে। প্রথম স্ত্রীর কথা জেনেও মেহেদী আল মাহমুদের স্ত্রী স্বেচ্ছায় বিয়ে করার জন্য রাজি হয়।

পুলিশ জানায়, অপরের স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করার ঘটনায় স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাজার মিয়া জানান, পরকীয়া সংক্রান্ত এক ব্যাক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে যে অভিযোগ দিয়েছে, তিনি তার অভিযোগ তুলে নেয়ায় তাকে কয়েক ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে এই ব্যাংক কর্মকর্তা এর আগেও অনেক সংসার নষ্ট করেছে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মোবাইল ফোনে প্রবাসী স্ত্রীদের পটিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে এ সকল ব্যাংক কর্মকর্তারা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। তা না হলে প্রবাসীর স্ত্রীরা পরকীয়া আসক্ত হয়ে স্বামী সন্তান রেখে পালিয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মেয়াদ ছাড়া রসমালাই, রং মিশিয়ে ঘি তৈরি করায় জরিমানা

চাঁদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার পরকীয়া প্রেম, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরকীয়া প্রেমিক আটক

Update Time : 12:38:28 am, Friday, 9 May 2025

চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেম ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ইউসিবি ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মডেল থানার এসআই নুরুল আমিন অভিযুক্ত ইউসিবি ব্যাংক বাবুরহাট আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য থানায় নিয়ে আসেন।

অভিযোগের বাদী ভুক্তভোগী মেহেদী আল মাহমুদ জানায়, ‘ইউ সি বি ব্যাংক পাল বাজার প্রধান শাখায় একাউন্টে লেনদেন করতে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। স্ত্রীকে ইউরোপ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার নাম ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করে সে। তার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়ানোর পর থেকে তার স্ত্রী সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে স্ত্রীকে বাবুরহাট রোডের মাথায় ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে একসাথে ধরা হয়।’

এ সময় রফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন রক্ষা করে। তারপর থেকে স্ত্রী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর পালবাজার ইউ সি বি ব্যাংক থেকে বদলি হয়ে বাবুরহাট উপ শাখার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে রফিকুল ইসলামকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাঁদপুর পাল বাজার ইউ সি বি ব্যাংক ম্যানেজার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে তদবির করতে শুরু করে ও বাদীকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানায়, ব্যাংকে লেনদেন করতে এসে মেহেদী আল মাহমুদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক হয়েছে। নোয়াখালী জেলায় তার প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকে। প্রথম স্ত্রীর কথা জেনেও মেহেদী আল মাহমুদের স্ত্রী স্বেচ্ছায় বিয়ে করার জন্য রাজি হয়।

পুলিশ জানায়, অপরের স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করার ঘটনায় স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাজার মিয়া জানান, পরকীয়া সংক্রান্ত এক ব্যাক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে যে অভিযোগ দিয়েছে, তিনি তার অভিযোগ তুলে নেয়ায় তাকে কয়েক ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে এই ব্যাংক কর্মকর্তা এর আগেও অনেক সংসার নষ্ট করেছে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মোবাইল ফোনে প্রবাসী স্ত্রীদের পটিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে এ সকল ব্যাংক কর্মকর্তারা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। তা না হলে প্রবাসীর স্ত্রীরা পরকীয়া আসক্ত হয়ে স্বামী সন্তান রেখে পালিয়ে যাবে।