হাজীগঞ্জ পপুলার ল্যাব ও জেনারেল হাসপাতালে ভুল চকিৎসা ও পরবর্তীতে অবহে-লার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার বদরপুর টোরাগড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ আলমগীর হোসেন গত ২০ এপ্রিল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুবি বেগমকে প্রসবজনিত কারণে হাজীগঞ্জ পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ আফরোজা খানের তত্ত্বাবধানে সিজার অপা-রে-শ-নের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশনের পর ২৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বাদীর অভিযোগ, ছাড়পত্র দেওয়ার পর বাড়ি নেওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রীর পেট ব্যথা ও রক্তক্ষরণ না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে একাধিকবার তিনি স্ত্রীকে ডাঃ আফরোজা খানের কাছে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক পরীক্ষা করে ঔষধ প্রদান করেন, তবে সমস্যার প্রকৃত কারণ চি-হ্নি-ত না করে চিকিৎসায় অবহেলা করেন বলে অভিযোগ।
রুবি বেগমের অবস্থার আরও অবনতি হলে ১০ মে তাকে কুমিল্লার জাউতলা রয়েল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সীমা মজুমদার পুনরায় অপারেশন করে জানান, আগের সিজার অপারেশনের পর সেলাই যথাযথভাবে না করায় জরায়ুতে ক্ষতের সৃষ্টি হয় ও রক্ত জমাট বাঁধে, যা ভবিষ্যতে ক্যান্সারের ঝুঁ-কি তৈরি করতে পারে।
এ ঘটনায় বাদী মোঃ আলমগীর হোসেন দাবি করেন, তার স্ত্রীর চি-কি-ৎ-সা বাবদ ইতোমধ্যে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা কোনো কর্ণপাত না করে উল্টো তাকে হুমকি ও অশোভন আচরণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পূর্বে গত কয়েক দিন পূর্বে পপুলার হাসপাতালে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ দিকে অভিযোগের বিষয়ে মালিকপক্ষের আ. কাদের বাবু বলেন, এই বিষয়ে থানা অভিযোগ হয়েছে, আমরা আইনকে সম্মান দেখিয়ে থানা বসে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবো।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।