চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের চারবারের প্রাক্তণ সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্য-নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য এম এ মতিনের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপি’সহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সোমবার (২৬ মে) মরহুমের কবর জিয়ারত ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন বাদ আসর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের অনুষ্ঠিত দোয়া-মাহফিলে প্রাক্তণ সাংসদ এমএ মতিনসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপির প্রয়াত নেতাকর্মী, সমর্থকদের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন, মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. আব্দুর রউফ।

দোয়া-মাহফিলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ¦ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল বাসার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজ খাঁন ও দিলদার হোসেন কিসলু, সাধারণ সম্পাদক মনির খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রানা, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন ফারুক মামুন, উপদেষ্টা হেলাল মজুমদার, খালেদ মিঠু উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, টিপু সুলতান জমিদার, মো. মিজানুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল লতিফ, বিল্লাল সরদার, আব্দুল মান্নান, সেলিম খাঁন, যুবদল নেতা জিসান আহমেদ সিদ্দিকী, ইয়াছির আরাফাত অনিক, সাখাওয়াত হোসেন, মো. শহীদুল্লাহ, আলামিন বাবু, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান বেপারী, রাশেদ গাজী, ছাত্রনেতা রোমান মিজি, শাহাদাত কাজী, মাইনুদ্দিন তপু’সহ উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ২৬ মে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এমএ মতিন ৮৪ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি ‘মতিন স্যার’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় আসন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকা থেকে চারবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

এ ছাড়াও মরহুম এমএ মতিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে পরিচিত।

তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং টোরাগড় গ্রামের মুন্সী বাড়ির প্রয়াত জুনাব আলী মুন্সীর ছেলে। এমএ মতিন আমৃত্যু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।