চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত হন আজাদ সরকার। সেই হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ মাস আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী একই ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি আহমেদ কবির হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে (৬০) ৪ আগস্ট দুপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারত্মক আহত করে। পরবর্তীতে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল নেয়া হলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানায় কাজী মিঠুসহ (৫২) ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন আজাদ সরকারের ছেলে ছাত্রদল নেতা হিমেল।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে গত প্রায় ১১ মাস আত্মগোপনে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠু। এরইমধ্যে পুলিশ গোপন সংবাদে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। বুধবার হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. সাজ্জাদ একদল পুলিশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা কাজী মিঠুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
রাতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর আজাদ সরকার হত্যা মামলা তদন্ত করছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
তিনি আরও জানান, এ মামলার সব আসামিকেই গ্রেফতার করবে পুলিশ। এরইমধ্যে প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।