চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাজীগঞ্জের প্রথম শহীদ আজাদ সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মনির হোসেন মিঠু কাজীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে মিঠু কাজীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টোরাগড় এলাকার কাজী বাড়ির মৃত মেন্দু কাজীর ছেলে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামি মিঠু কাজীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতবছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ৪ আগস্ট বিকালে নিজ বসতবাড়ির সামনে পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে আহত করেন, মিঠু কাজীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই মারা যান।
এই হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর নিহতের ছেলে আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে ওই বছরের ১৪ আগস্ট ১৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাজী মনির হোসেন মিঠুকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
এছাড়াও মামলার অপর নামীয় আসামিরা হলেন, একই এলাকার কাজী বাড়ির ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী ও নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজী।
মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন।