জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয় নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী বলেছেন, চাঁদপুরের অনেক গ্রাম নদী গর্বে বিলীন হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে বহু মানুষ তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল হয়ে বসবাস করছে। এসব মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে হলেও আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন। দয়া করে চাঁদপুরের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আর কেউ করবেন না।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে আমার জন্ম এবং এখানকার মাটিতেই আমাকে মিশে যেতে হবে। আল্লাহ ছাড়া আমরা কাউকে ভয় পাই না। কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে বার বার হত্যা এবং খুন করতে আসে ততবার আমরা জেগে উঠে বলবো-বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার মত স্বৈরাচার কায়েম হতে দিব না। চাঁদপুরে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও বালু খেকোদের প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা সারমিন, যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম, মো. মিরাজ মিয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা এনসিপির আহবায়ক মাহবুব তালুকদারসড় কেন্দ্রীয় নেতারা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এনসিপির চাঁদপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম।
এদিন কর্মসূচির শুরুতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে কুশল বিনিময় করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সারজিস আলম ও নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্য নেতারা। পরে ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ হতে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শোক র্যালি করে নেতাকর্মীরা। সেখানে পথসভা শেষে হাজীগঞ্জে শহীদ আজাদ চত্বরের উদ্বোধন এবং সবশেষ শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গায় পদযাত্রা শেষে তারা চাঁদপুর থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন।