স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৪ শহীদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও কবর জিয়ারত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড়ে শহীদ আজাদ সরকারের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও কবর জিয়ারত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন। এ সময় শহীদ আজাদ সরকারের ছেলে আহমেদ কবির হিমেল উপস্থিত ছিলেন।
হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামের শহীদ মো. আবুল কালামের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও কবর জিয়ার করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাবেদ হোসেন চৌধুরী।
১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বকাউল বাড়ীর শহীদ রাসেল বকাউলের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও কবর জিয়ারত করেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক ও ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়া গ্রামে শহীদ আবদুল হান্নানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও কবর জিয়ারত করেন উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান। এ সময় শহীদ আজাদ সরকারের ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শহীদ আজাদ সরকারকে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের সমর্থকরা ৪ আগস্ট দুপরে হাজীগঞ্জ পৌরসভার সম্মুখে কুপিয়ে মারত্মক ভাবে আহত করে। একই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুল হান্নান সরকার ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে বাসায় যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আহত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাসেল বকাউল ৪ আগস্ট ঢাকা যাত্রাবাড়ীতে থানার সম্মুখে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
শহীদ মো. আবুল কালাম পেশায় ছিলেন আইনজীবী। ৫ আগস্ট আদালত কুমিল্লায় আদালত থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন থেকে ১৫ আগস্ট ঢাকা পপুলার হাসপাতালে তিনি মারা যান।